বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১১

হাতির প্রেমে পড়ে


 
হাতির সঙ্গে লরা পুকো হাতির সঙ্গে লরা পুকো
চিকিৎসক হবেন বলে হোমিওপ্যাথি পড়ছেন ফিনল্যান্ডের তরুণী লরা পুকো (২৫)। ভারতের কেরালায় গত বছর বেড়াতে গিয়ে বদলে গেছে তাঁর লক্ষ্য। এখন মাহুত হয়ে হাতির সঙ্গে দিন কাটানোর কথা ভাবছেন তিনি।
লরা পুকো জানান, আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে তাঁর চিকিৎসাবিদ্যার পড়াশোনা। এর পর তিনি নতুন করে ঠিক করা পেশার দিকে ঝুঁকবেন।
লরা বলেন, ‘কেরালার কুমলি এলাকায় প্রথম যে দিন হাতি দেখি, প্রথম দেখাতেই প্রাণীটির প্রেমে পড়ে যাই। ওই মুহূর্তে আমি কিছু ভাবতে পারছিলাম না। এখানে থেকে যাব কি না, এ চিন্তাটা মাথায় আসে তখন। এ কথা মুখ দিয়ে বের হওয়া মাত্র সায় পেয়ে যাই।’
প্রথম দিকে লরা কেবল হাতির পালের সঙ্গে হেঁটে যেতেন। এরপর হাতিগুলোকে খাওয়ানোর সময় লোকজনকে সহযোগিতা করতে লাগলেন। ধীরে ধীরে মাহুত হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন তিনি। এ সময় টানা তিন মাস তিনি হাতিদের সঙ্গে সময় কাটান। প্রতিদিন ভোরে হাতির খামারে আসতেন, সন্ধ্যা পার করে ফিরতেন নিজের ঘরে। এখন অন্য মাহুতদের মতো তিনিও হাতিকে নদীতে গোসল করাতে নিয়ে যেতে পারেন। সম্প্রতি তিনি এলিফ্যান্ট জাংকসন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়েছেন।
সাধারণত ছেলেরাই হাতির মাহুত হয়। আর মাহুত হওয়ার বিষয়টি চলে বংশপরম্পরায়। মাহুতের বংশধরেরাই মাহুত হয়ে থাকে। এই পেশায় আয়ও খুব কম। ভারতের ভাষাও লরার জন্য সমস্যা হবে। হাতি পরিচালনার বিষয়টিও কম ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
তবে এসব কোনো কিছু লক্ষ্য থেকে টলাতে পারেনি লরাকে। তিনি বিশ্বাস করেন, হূদয়ের গভীর থেকে কিছু করতে চাইলে কোনো কিছুই বাধা হতে পারে না। বিবিসি।
প্রথম আলো

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons