এক রোগীকে চিকিৎসা দিতে দেরি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুলনার ফুলতলা উপজেলার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এ সময় ক্লিনিকের মালিক গুলিবর্ষণ করেছেন। গত সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফুলতলার ফিরোজ ভূঁইয়ার অসুস্থ স্ত্রী কামরুন নাহারকে (৩৮) বেলা দুইটার দিকে এম এ গফুর মেমোরিয়াল ক্লিনিকে নেওয়া হয়। অনেক অনুরোধের পরও চিকিৎসা শুরু না করায় তাঁর আত্মীয়েরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে তাঁরা ক্লিনিকে ভাঙচুর শুরু করেন। তখন ক্লিনিকের মালিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর মোরশেদ তাঁর লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন।
গুলি ছোড়ার ঘটনা জানার পর স্থানীয় লোকজন ক্লিনিকে ইটপাটকেল ছোড়ে। তখন মঞ্জুর মোরশেদ আবারও দুটি গুলি ছুড়লে পরিস্থিতির অবনতি হয়। এ সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে জনতা ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করার দাবিতে ক্লিনিকের সামনের খুলনা-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। পুলিশ মঞ্জুর মোরশেদকে আটক করে ফুলতলা থানায় নিয়ে যায়। চিকিৎসককে আটকের পর পুলিশের অনুরোধে বিকেল পাঁচটার দিকে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
ক্লিনিকের মালিক মঞ্জুর মোরশেদ বলেন, ‘রোগীর লোকেরা আমাকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুযোগই দেয়নি। পরিস্থিতি দেখে আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়েছি।’
এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে ক্লিনিক মালিক, পুলিশ প্রশাসন ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে সিভিল সার্জন গোলাম মর্তুজাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জনতার দাবির মুখে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মঞ্জুর মোরশেদকে বদলি ও ক্লিনিক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের পর মঞ্জুর মোরশেদকে ছেড়ে দেওয়া হয়।




৪:৩৮ PM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন