সাতক্ষীরা শহরের দুর্ধর্ষ নারীখাদক সদ্যবিলুপ্ত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ জুয়েল হাসানের হাত থেকে রক্ষা পায়নি তারই আপন বড় ভাইয়ের স্ত্রী (৩০)। তিনি সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার গৃহবধূ। ২০১০ সালের ২০শে অক্টোবর সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ভাবীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এই গুণধর ছাত্রনেতা। এ ঘটনায় ভাবী বাদী হয়ে সদর থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। এলাকাবাসী জানায়, সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর গ্রামের শেখ জুয়েল হাসানের বড় ভাই বিগত ২০১০ সালের ২০শে অক্টোবর সকালে বাড়িতে না থাকার সুযোগে দেবর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নারী খাদক জুয়েল হাসান সকাল ১০টার দিকে বড় ভাবীর ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। ভাবী তার ইজ্জত রক্ষার জন্য তার কাছে মিনতি করে বার বার। কিন্তু এতে তার মন গলেনি। এক পর্যায়ে তার ভাবীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে মারপিট করে জখম করেন। ভাবীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসার আগেই জুয়েল হাসান পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ভাবী বাদী হয়ে দেবর ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল হাসানকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(৪)(খ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৬৪, তাং ২২.১০.১০ ইং। এ মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এস আই কামাল হোসেন রাজনৈতিক চাপের কারণে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ প্রচেষ্টার মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দেন। এই ফাইনাল রিপোর্ট দেয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করে বলে জানায়।




১:০৬ PM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন