কিছু কিছু ঘটনা মানুষের মাঝে জাগায় প্রচণ্ড বিস্ময়। কিছু বিস্ময়ের মধ্যেই চাপা পড়ে থাকে হাজারো প্রশ্ন, দুঃখ কথা। এমনি এক ঘটনায় নানা কৌতূহলের জš§ দিয়েছেন বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার জামুন্না হাটপাড়া গ্রামের আব্দুস সালাম (২১)। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় মেয়ে থেকে ছেলে হলেও সংসারের অভাব অনটন ও পারিপার্শ্বিক নানা কারণে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে সালামের জীবন।
আমাদের সময়
দুবছর পূর্বে সালামের শরীরে আসে বিরাট পরিবর্তন। কিছুদিন পূর্বেও সে সমাজে পরিচিত ছিল সালমা নামে। রূপান্তরের পর সেই হয়ে ওঠে আব্দুস সালাম। দরিদ্র বাবার চার মেয়ে ও একছেলের মধ্যে সে ছিল দ্বিতীয়। মেয়ে হিসাবেই বেড়ে ওঠে সে। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে সে। প্রথম জীবনে মেয়ে হিসাবে বেড়ে উঠেলেও সে মাঝে মাঝে শার্ট-প্যান্ট পরতো। কিন্তু তার বাবা মেয়ে হিসাবে তার বিয়েও দেন জামালপুর গ্রামের নুর আলমের সঙ্গে। বিয়ের কিছুদিন পরই তার শরীরে পরিবর্তন লক্ষ্য করে সে। একপর্যায়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি চলে আসে সালমা। এর কিছুদিন পর পূর্ণাঙ্গ পুরুষে রূপান্তরিত হয় সে। তিন মাস পূর্বে সে শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে অঞ্জনাকে বিয়ে করে। কিন্তু মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হবার পর শুরু হয় সালামের দুর্বিষহ দ্বিতীয় জীবন-সংসার।
এতদিন যারা মেয়ে হিসাবে তাকে কাছে ডাকতো, কথা বলতো, ছেলে হবার পর তাদেরই চক্ষুশুল হয় সে। পুরো পরিবারটিকেই অনেকটা একঘরে করেছে সমাজের মানুষ।
সালামের বাবা দরিদ্র পাপড় বিক্রেতা সোহরাব আলী জানান, সালাম মেয়ে থেকে ছেলে হওয়ায় গ্রামে আমাকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। এলাকার লোকজন আমাকে কোনো কাজে ডাকে না। এমনকি ফিতরার টাকা পর্যন্ত কেউ দেয় না। কোরবানির ঈদে মাংস পর্যন্ত দেয়নি। সালামের বিয়ে দেবার পর অনেকে মারপিটের চেষ্টা করেছে।
শফিকুল ইসলাম শরীফ হ শেরপুর থেকআমাদের সময়




৪:৪১ PM
মম
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন