শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১১

বগুড়ার সালমা এখন মজিদ


বাবা-মায়ের সঙ্গে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত আবদুল মজিদ 
বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার জামুন্নাহাট গ্রামে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হয়ে আলোচিত ১৯ বছরের তরুণী সালমা। পুরুষ হওয়ার পর তার নাম রাখা হয়েছে আবদুল মজিদ। তাকে দেখার জন্য প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় করছে শত শত মানুষ। এদিকে ছোটবেলার বান্ধবী মলি খাতুনকে বিয়ে করে সংসার করতে চায় মজিদ।
জানা যায়, নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হয়ে আলোচিত ১৯ বছরের তরুণী সালমার বাড়ি শাহজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের জামুন্না হাটপাড়ায়। তার বাবা সোহরাব আলী ও মা সাজেদা খাতুন। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় সালমা। অভাব-অনটনের কারণে জামুন্না প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর পর আর লেখাপড়া করা হয়নি তার। প্রায় তিন বছর আগে পরিবার থেকে সালমার বিয়ে দেয়া হয় উপজেলার জামালপুর গ্রামের কৃষক নুর আলমের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে বাবার বাড়িতে ফিরে আসে।

সালমার বাবা সোহরাব জানান, গত ছয় মাস আগে থেকে সালমার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন শুরু হয়। তার শরীরের গঠনও পাল্টে যায়। তার বুক মেয়েদের মতো উঁচু থাকলেও সেটা দেবে যায়। ধীরে ধীরে সে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হয়। বিষয়টি গোপন রাখা হলেও গত বুধবার পারিবারিকভাবে তার নাম সালমা থেকে পরিবর্তন করে আবদুল মজিদ রাখা হয়। মেয়েদের পোশাক পাল্টে এখন সে পুরুষের পোশাক পড়ছে। তার মতে, এটা আল্লাহর দান।
নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত আবদুল মজিদ জানান, চার বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়। সে এখন পূর্ণাঙ্গ পুরুষ। পুরুষের মতো শারীরিক সব ক্ষমতা সে অর্জন করেছে। এটা সে পরীক্ষাও করে দেখেছে। সে আরো জানায়, এক সময় তার শরীরের গঠন মেয়েদের মতো থাকলেও এখন সব পুরুষের মতো। তার বান্ধবী মলিকে বিয়ে করে ঘর সংসার করতে চায় মজিদ। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই সে ডাক্তারি পরীক্ষা করাবে।বান্ধবী মলি জানান, ছয়মাস আগে থেকে সালমার 

মধ্যে পরিবর্তন শুরু হয়। কেউ বুঝতেই পারেনি যে এমনটা ঘটবে। পুরুষে রূপান্তরিত হচ্ছে জেনেও আমরা বিষয়টি গোপন রাখি। বর্তমানে আমরা উভয় উভয়কে ভালোবাসি। ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক আমরা বিয়ে করব। মজিদ এখন তার ছোটবেলার বান্ধবী মলি খাতুনকে বিয়ে করে সংসার করতে চায়। সমাজের অন্য পুরুষের মতো সেও সংসার করার স্বপ্ন দেখছে।
এদিকে গত কয়েক দশক আগে বগুড়ায় পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হয়েছিলেন হোসনে আরা বেগম। এখন তিনি এ অঞ্চলের বৃহৎ এনজিও টিএমএসএসর নির্বাহী পরিচালক। তার একক প্রচেষ্টায় তিনি এ এনজিওটি গড়ে তোলেন।
আরিফ রেহমান বগুড়া
যায় যায় দিন

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons