ভালোবাসার কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। সেটাই আরেকবার প্রমাণ করলেন গিলবার্ট হেরিক। মনের মানুষের খোঁজে নিউইয়র্কের এ বাসিন্দা ৯৯ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। অবশেষে জীবনসায়াহ্নে এসে খুঁজে পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত নারী ভার্জিনিয়া হার্টম্যানকে। তাঁকে বিয়ে করে অবসান ঘটালেন কুমার জীবনের।
নিউইয়র্কে অবস্থিত মনরো কমিউনিটি হাসপাতাল নার্সিং হোমে বসবাস করছেন গিলবার্ট। ডাক বিভাগ থেকে অবসর নিয়ে এখানেই আছেন দীর্ঘকাল ধরে। একই নার্সিং হোমে থাকেন ৮৬ বছর বয়সী ভার্জিনিয়া। ২৫ বছর আগে তিনি বিধবা হয়েছেন। ছবি আঁকায় আছে তাঁর পারদর্শিতা।
বছর খানেক আগের কথা। ভার্জিনিয়ার আঁকা ছবি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আয়োজন করল একটি প্রদর্শনীর। সেই প্রদর্শনীর একটি তেলচিত্র নজর কাড়ে গিলবার্টের। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এই শিল্পের স্রষ্টা ভার্জিনিয়া। এরপর প্রতিদিন তাঁর কক্ষে যাওয়া-আসা আর আড্ডা। ধীরে ধীরে দুজন দুজনায় ভালোলাগা, মন দেওয়া-নেওয়া, অবশেষে ভালোবাসা।
বুড়ো কপোত-কপোতী ভাবলেন এভাবে আর নয়, এখন একই কক্ষে থাকলে মন্দ না। কিন্তু বাদ সাধে বেরসিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানানো হলো, বিয়ে ছাড়া এক কক্ষে থাকা অসম্ভব। কী আর করা! অনেক ভেবেচিন্তে ভার্জিনিয়া দিলেন বিয়ের প্রস্তাব। এতদিনে মনের মানুষকে খুঁজে পেয়ে ভার্জিনিয়াকে হারাতে চাননি গিলবার্টও।
অবশেষে ৬ জুন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন তাঁরা। বিয়ের সব আয়োজন করেন ভার্জিনিয়ার সন্তান, নাতি-নাতনি ও তাঁদের ছেলেমেয়েরা। অনুষ্ঠানে নবদম্পতির আত্মীয়স্বজন, নার্সিং হোমের চিকিৎসক ও সেবিকারা ছাড়াও বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের পর গিলবার্ট তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি ভার্জিনিয়াকে ভালোবাসি।’ এতদিন বিয়ে না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাঁকে (ভার্জিনিয়া) খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আমি কখনোই আমার মনের মতো কোনো নারীকে খুঁজে পাইনি।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া এই প্রায় শতবর্ষী মানুষটির জীবনে কোনো অভাব ছিল না। জীবনজুড়ে ছিল শুধুই সফলতা আর সমৃদ্ধি। পেয়েছেন মার্কিন সামরিক পুরস্কার পার্পল হার্ট। তবু এত কিছুর পর তাঁর হূদয়ের একটা জায়গা ছিল শূন্যতায় ভরা। জীবনসঙ্গী হিসেবে কাউকে খুঁজে না পাওয়া। অবশেষে ভার্জিনিয়াকে বিয়ে করে সেই শূন্যতা পূরণ হলো তাঁর। সিবিসি নিউজ।
নিউইয়র্কে অবস্থিত মনরো কমিউনিটি হাসপাতাল নার্সিং হোমে বসবাস করছেন গিলবার্ট। ডাক বিভাগ থেকে অবসর নিয়ে এখানেই আছেন দীর্ঘকাল ধরে। একই নার্সিং হোমে থাকেন ৮৬ বছর বয়সী ভার্জিনিয়া। ২৫ বছর আগে তিনি বিধবা হয়েছেন। ছবি আঁকায় আছে তাঁর পারদর্শিতা।
বছর খানেক আগের কথা। ভার্জিনিয়ার আঁকা ছবি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আয়োজন করল একটি প্রদর্শনীর। সেই প্রদর্শনীর একটি তেলচিত্র নজর কাড়ে গিলবার্টের। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এই শিল্পের স্রষ্টা ভার্জিনিয়া। এরপর প্রতিদিন তাঁর কক্ষে যাওয়া-আসা আর আড্ডা। ধীরে ধীরে দুজন দুজনায় ভালোলাগা, মন দেওয়া-নেওয়া, অবশেষে ভালোবাসা।
বুড়ো কপোত-কপোতী ভাবলেন এভাবে আর নয়, এখন একই কক্ষে থাকলে মন্দ না। কিন্তু বাদ সাধে বেরসিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানানো হলো, বিয়ে ছাড়া এক কক্ষে থাকা অসম্ভব। কী আর করা! অনেক ভেবেচিন্তে ভার্জিনিয়া দিলেন বিয়ের প্রস্তাব। এতদিনে মনের মানুষকে খুঁজে পেয়ে ভার্জিনিয়াকে হারাতে চাননি গিলবার্টও।
অবশেষে ৬ জুন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন তাঁরা। বিয়ের সব আয়োজন করেন ভার্জিনিয়ার সন্তান, নাতি-নাতনি ও তাঁদের ছেলেমেয়েরা। অনুষ্ঠানে নবদম্পতির আত্মীয়স্বজন, নার্সিং হোমের চিকিৎসক ও সেবিকারা ছাড়াও বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের পর গিলবার্ট তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি ভার্জিনিয়াকে ভালোবাসি।’ এতদিন বিয়ে না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাঁকে (ভার্জিনিয়া) খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আমি কখনোই আমার মনের মতো কোনো নারীকে খুঁজে পাইনি।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া এই প্রায় শতবর্ষী মানুষটির জীবনে কোনো অভাব ছিল না। জীবনজুড়ে ছিল শুধুই সফলতা আর সমৃদ্ধি। পেয়েছেন মার্কিন সামরিক পুরস্কার পার্পল হার্ট। তবু এত কিছুর পর তাঁর হূদয়ের একটা জায়গা ছিল শূন্যতায় ভরা। জীবনসঙ্গী হিসেবে কাউকে খুঁজে না পাওয়া। অবশেষে ভার্জিনিয়াকে বিয়ে করে সেই শূন্যতা পূরণ হলো তাঁর। সিবিসি নিউজ।
prothom-alo




৬:২১ PM
Akashnill

Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন