দুবাইয়ের হোটেলে হোটেলে চলছে নানা দেশের সুন্দরীদের জমজমাট আসর। রঙিন আলোর নিচে এ ব্যবসায় ব্যবহৃত হচ্ছেন বিভিন্ন দেশের সুন্দরী ললনা। তারা অর্থের বিনিময়ে বিলিয়ে দিচ্ছেন দেহ।
বাইরে থেকে দেখতে ঝলমলে ওই সব হোটেলের ভিতরে কি ঘটে তা বাইরের মানুষের জানা কঠিন। সুরড়্গিত, অভিজাত এ রকম অনেক হোটেলে এ বাণিজ্যে ব্যবহৃত হচ্ছেন পূর্ব ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন অঞ্চলের যুবতীরা। এ বিষয়ে অনুসন্ধানী একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে অনলাইন নিউজ অব দ্য উইক-এ। এতে বলা হয়েছে, লা পিয়াজ্জা হোটেলে রাতের দৃশ্য অন্যরকম। সেখানে রাতে যেন বিশ্বের সুন্দরীদের মেলা বসে। অকস্মাৎ এর ভিতরে তাদের কেউ একজন কোন পুরম্নষ দর্শনার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে মোলায়েম ভঙ্গিতে দৈহিক সম্পর্ক স’াপনের আবেদন জানিয়ে বসেন। ওই পত্রিকার এক সাংবাদিক এ দৃশ্য সরেজমিনে অবলোকন করেছেন। ওই হোটেলের প্রবেশপথের ওপরে টাঙানো সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসকের ছবি। ওই সাংবাদিক ১৭ পাউন্ড ফি দিয়ে তার নিচ দিয়ে প্রবেশ করেন। দেখতে পান ভিতরে সাজানো বিয়ারের বোতল, স্পিরিট ঢেকে রাখা হয়েছে ন্যাপকিন দিয়ে। বিশাল আকারের একটি পস্নাজমা টেলিভিশনে পপ মিউজিক বাজছে। এমন অবস’ায় তুরস্কের আয়েশা নামের এক রমণী ঘোষণা দিতে থাকেন- আমার কাছে সেরা মেয়ে আছে। আপনার দৈহিক সম্পর্ক স’াপনের জন্য তা হবে সেরা। মাত্র ২৫০ পাউন্ডের বিনিময়ে আপনি তাদের যে কাউকে সারারাত কাছে রাখতে পারবেন। সেজন্য ওপর তলায় রম্নমের ব্যবস’া আছে। তা ব্যবহার করতে আপনাকে দিতে হবে বাড়িত ৮৫ পাউন্ড। শুধু আয়েশাই নন, সেখানে আছেন রাশিয়ান মেয়ের কালেকশন। তাদের একজন
ক্যাট্রিনা। আছেন তুরস্কের আলিয়া। তবে এসব মেয়ে সরবরাহ বা তাদের নিয়ে ব্যবসায় হোটেল কর্তৃপড়্গ জড়িত নয়। কিন’ ওই সব ললনাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করে তারা হোটেল কর্তৃপড়্গকে প্রতি রম্নমের জন্য ১০১ পাউন্ড দিয়ে থাকে। ক্যাট্রিনা (২৩) এ ব্যবসার আদ্যোপানত্ম খুলে বলেছেন। তিনি বলেছেন,
ওই হোটেলে তাদের অবস’ান করতে হয় রাত ৯টা থেকে ভোর ৩টা পর্যন’। আলিয়ার বাড়ি ইসত্মানবুলে। তিনি বলেছেন, আমরা আয়েশার অধীনে। তার কাছে এ রকম অনেক মেয়ে আছে। তাদের সবাইকে এখানে খদ্দের খুঁজে নিতে হয়। কেউ অনিরাপদ দৈহিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত ৫০ পাউন্ড দিতে হয়। তবে আলিয়া, ক্যাট্রিনারা যে সেখানে আইন ভঙ্গ করছেন সে ব্যাপারে তারা সচেতন। আলিয়ার মনত্মব্য, দুবাইতে মদপান এবং মেয়েদের সঙ্গভোগ নিষিদ্ধ। কিন’ এই হোটেলে কোন সমস্যা নেই। আমরা নিরাপদ। স’ানীয় পুলিশ আমাদের অনুমতি দিয়েছে। কারণ পুলিশের অনেক কর্তাব্যক্তি আমাদের খদ্দের। এছাড়া আছে দুবাইয়ের অভিজাত শ্রেণীর কিছু গুরম্নত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আমাদের কারও কাছে নেই বৈধ কাগজপত্র। কিন’ তা সত্ত্বেও তারা এখানে অবস’ান করতে এবং আমাদের কর্মকাণ্ড চালাতে বাধা দেয় না। বেলারম্নশের যুবতী নাতাশার ভাষ্য, এখানে পুরো রাত কোন যুবতীর সঙ্গভোগ করতে চাইলে তার জন্য প্রকারভেদে ২৫০ পাউন্ড থেকে শুরম্ন করে আরও বেশি অর্থ দিতে হয়। বিনিময়ে খদ্দের যেমন এবং যতবার খুশি ওই যুবতীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স’াপন করত পারে। তাদের আরেকজন উজবেকিসত্মানের লাইলা। তিনি তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছেন, আমাকে প্রিমিয়ার ক্লাব থেকে এক আরব পুরম্নষ তার ফ্ল্যাটে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে আটকে রেখে তার সঙ্গভোগে বাধ্য করেন। এভাবে কেটে যায় তিন রাত। এর মধ্যে তিনি আমাকে বার বার ধর্ষণ করেন এবং ভীষণ নোংরামিতে মেতে ওঠেন। কিন’ একদিন তিনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকা অবস’ায় আমি সেখান থেকে পালিয়ে আসি। লাইলার বান্ধবী লিসা। লিসার বাড়ি তুরস্কে। তার ভাষ্য, এখানে অবস’ানকারী আমাদের কারও কোন ভিসা নেই। সেজন্য স’ানীয়রা জানে আমাদের যাওয়ার জায়গা নেই। ফলে তারা আমাদের দুর্বলতার সুযোগ নেন। তারা আমাদের ওপর নির্যাতন করেন।




২:১৯ PM
মম
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন