‘পোলাডা আইজ চাইর বছর ধইর্যা ভারতের জেলে বন্দী অইয়্যা রইছে। পরিবারে আয়-রোজগার করনের আর কেউ নাই। মানষের ধারে চাইয়্যা-চিন্তা পাইলে খাই, না পাইলে না খাইয়্যা থাহি।’
কয়েক দিন আগে আক্ষেপের সুরে এ কথাগুলো বলেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার হাসেম পেয়াদা। তাঁর ছেলে আলমগীর পেশায় জেলে। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় আলমগীরসহ ১৪ জন জেলে একটি মাছ ধরার নৌকা নিয়ে দিক হারিয়ে ভারতে চলে যান। পরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটক করে ভারতের ওডিশার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়। তাঁরা এই সাড়ে তিন বছরেও দেশে ফিরতে পারেননি।
ভারতের কারাগারে আটক অপর ১৩ জন জেলে হলেন পাথরঘাটার চর লাঠিমারা গ্রামের করিম খানের ছেলে বাবুল খান, মোতালেব মিয়ার ছেলে দেলোয়ার ও আব্বাস, নকুল চন্দ্রের ছেলে মনোতোষ ও নির্মল, সোহরাফ হোসেনের ছেলে আবদুর রহিম, বজলুর রহমানের ছেলে শামসুর রহমান, মোতালেব মিয়ার ছেলে আউয়াল, সামসুর রহমানের ছেলে বাদশা মিয়া, আবদুর রহমানের ছেলে বারেক মাঝি, সৈয়দ আলীর ছেলে ফুল মিয়া, বাদুড়তলা গ্রামের মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে জাকির এবং মজিদ ফকিরের ছেলে আজিজ ফকির।
এসব জেলের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ ও ১৭ জুন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৭৯ জন জেলে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আশ্রয় নেন। ছয় দিনের মাথায় ওই দেশের সরকার তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন পরও সরকারের অবহেলার কারণে তাঁদের সন্তানেরা দেশে ফিরতে পারেনি।
বরগুনা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশের উপহাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে ওই ১৪ জন জেলের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠিতে বন্দী জেলেদের নাম ও পরিচয় শনাক্ত করে তা জানানোর অনুরোধ করা হয়।
ওই চিঠির সূত্র ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন গত বছরের ১১ মে বরগুনার পুলিশ সুপারকে ভারতের ওডিশা কারাগারে বন্দী ১৪ জন জেলের পরিচয় ও নাগরিকত্ব নিশ্চিতের জন্য তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য একটি চিঠি দেন। সে অনুযায়ী মে মাসের শেষ দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়।
কিন্তু প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক বছর পার হলেও ওই জেলেরা মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আসতে পারেননি। এ কারণে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
বরগুনা-২ আসনের সাংসদ গোলাম সবুর জানান, অচিরেই তিনি বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অবহিত করবেন এবং যত দ্রুত সম্ভব বন্দী জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাবেন।
কয়েক দিন আগে আক্ষেপের সুরে এ কথাগুলো বলেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার হাসেম পেয়াদা। তাঁর ছেলে আলমগীর পেশায় জেলে। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় আলমগীরসহ ১৪ জন জেলে একটি মাছ ধরার নৌকা নিয়ে দিক হারিয়ে ভারতে চলে যান। পরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটক করে ভারতের ওডিশার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়। তাঁরা এই সাড়ে তিন বছরেও দেশে ফিরতে পারেননি।
ভারতের কারাগারে আটক অপর ১৩ জন জেলে হলেন পাথরঘাটার চর লাঠিমারা গ্রামের করিম খানের ছেলে বাবুল খান, মোতালেব মিয়ার ছেলে দেলোয়ার ও আব্বাস, নকুল চন্দ্রের ছেলে মনোতোষ ও নির্মল, সোহরাফ হোসেনের ছেলে আবদুর রহিম, বজলুর রহমানের ছেলে শামসুর রহমান, মোতালেব মিয়ার ছেলে আউয়াল, সামসুর রহমানের ছেলে বাদশা মিয়া, আবদুর রহমানের ছেলে বারেক মাঝি, সৈয়দ আলীর ছেলে ফুল মিয়া, বাদুড়তলা গ্রামের মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে জাকির এবং মজিদ ফকিরের ছেলে আজিজ ফকির।
এসব জেলের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ ও ১৭ জুন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৭৯ জন জেলে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আশ্রয় নেন। ছয় দিনের মাথায় ওই দেশের সরকার তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন পরও সরকারের অবহেলার কারণে তাঁদের সন্তানেরা দেশে ফিরতে পারেনি।
বরগুনা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশের উপহাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে ওই ১৪ জন জেলের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠিতে বন্দী জেলেদের নাম ও পরিচয় শনাক্ত করে তা জানানোর অনুরোধ করা হয়।
ওই চিঠির সূত্র ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন গত বছরের ১১ মে বরগুনার পুলিশ সুপারকে ভারতের ওডিশা কারাগারে বন্দী ১৪ জন জেলের পরিচয় ও নাগরিকত্ব নিশ্চিতের জন্য তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য একটি চিঠি দেন। সে অনুযায়ী মে মাসের শেষ দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়।
কিন্তু প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক বছর পার হলেও ওই জেলেরা মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আসতে পারেননি। এ কারণে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
বরগুনা-২ আসনের সাংসদ গোলাম সবুর জানান, অচিরেই তিনি বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অবহিত করবেন এবং যত দ্রুত সম্ভব বন্দী জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাবেন।




৭:০০ PM
Akashnill

Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন