সরকারি সফরে যাওয়ার কথা ছিল চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগে। কিন্তু তিনি যেতে চান প্যারিসে। সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সই জাল করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পর্যন্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ধরা পড়ে সফরটিই বাতিল হয়ে যায়। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রাথমিক তদন্ত করে। এর ভিত্তিতে মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির। গত সোমবার তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হকের কাছে সুপারিশপত্র পাঠান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আপাতত তাঁকে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এর আগে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ স্বীকার করে মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে জানান, তিনি বুঝতে পারেননি। ভুল হয়ে গেছে। তাঁর সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানান তিনি।
কিন্তু নিজাম উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে চেক রিপাবলিকের কোনো দূতাবাস নেই। সে কারণে তিনি ফ্রান্সে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তবে প্রাগের ওই সম্মেলনে আরও একজন চিকিৎসক যোগ দিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে জানান, ঢাকার চেক রিপাবলিকের কনস্যুলার অফিস থেকেই ভিসা নিয়েছেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২৩-২৬ জুন পর্যন্ত প্রাগে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাঁর এই বিদেশ সফর অনুমোদন করে ৬ জুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত আইরিনের স্বাক্ষর ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে প্রত্যয়নপত্রও দেয়। কিন্তু ৯ জুন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে একটি সংশোধিত প্রজ্ঞাপন। এতেও সই আছে নুসরাত আইরিনের। তাতে লেখা, ২২ জুন থেকে ২৯ জুন মেয়াদে ফ্রান্সে ভ্রমণ করবেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের এই জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক। একই নামে তিন দিনের ব্যবধানে দুটি চিঠি আসায় খটকা লাগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের। তাঁরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত আইরিন সংশোধিত কোনো প্রজ্ঞাপনে সই করেননি। তাঁর সই জাল করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজাম উদ্দিনের এই সফরের বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানায়। কিন্তু নিজাম উদ্দিন আর বিমানবন্দরে যাননি। নির্ধারিত দিনে বিমানবন্দরে না যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানতে পারেন, তাঁর কাগজপত্র নিয়ে কিছু ঝামেলা হচ্ছে। তাই যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাইলেই বিদেশ যেতে পারি, কেন জালিয়াতি করব!
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রাথমিক তদন্ত করে। এর ভিত্তিতে মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির। গত সোমবার তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হকের কাছে সুপারিশপত্র পাঠান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আপাতত তাঁকে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এর আগে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ স্বীকার করে মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে জানান, তিনি বুঝতে পারেননি। ভুল হয়ে গেছে। তাঁর সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানান তিনি।
কিন্তু নিজাম উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে চেক রিপাবলিকের কোনো দূতাবাস নেই। সে কারণে তিনি ফ্রান্সে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তবে প্রাগের ওই সম্মেলনে আরও একজন চিকিৎসক যোগ দিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে জানান, ঢাকার চেক রিপাবলিকের কনস্যুলার অফিস থেকেই ভিসা নিয়েছেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২৩-২৬ জুন পর্যন্ত প্রাগে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাঁর এই বিদেশ সফর অনুমোদন করে ৬ জুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত আইরিনের স্বাক্ষর ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে প্রত্যয়নপত্রও দেয়। কিন্তু ৯ জুন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে একটি সংশোধিত প্রজ্ঞাপন। এতেও সই আছে নুসরাত আইরিনের। তাতে লেখা, ২২ জুন থেকে ২৯ জুন মেয়াদে ফ্রান্সে ভ্রমণ করবেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের এই জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক। একই নামে তিন দিনের ব্যবধানে দুটি চিঠি আসায় খটকা লাগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের। তাঁরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত আইরিন সংশোধিত কোনো প্রজ্ঞাপনে সই করেননি। তাঁর সই জাল করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজাম উদ্দিনের এই সফরের বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানায়। কিন্তু নিজাম উদ্দিন আর বিমানবন্দরে যাননি। নির্ধারিত দিনে বিমানবন্দরে না যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানতে পারেন, তাঁর কাগজপত্র নিয়ে কিছু ঝামেলা হচ্ছে। তাই যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাইলেই বিদেশ যেতে পারি, কেন জালিয়াতি করব!




১১:১৩ AM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন