কুমিল্লা-কোটবাড়ী সড়কের চাঙ্গিনি এলাকায় পাশাপাশি কয়েকটি দোকানঘর ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে কুমিল্লা ক্যামব্রিয়ান কলেজ। তিন বছর ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থী ভর্তি করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
ওই প্রতিষ্ঠানটির মতো কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীন ছয়টি জেলায় অনুমোদনহীন আরও ১০টি কলেজের সন্ধান মিলেছে। এসব কলেজের বেশির ভাগই বাসাবাড়ি অথবা মার্কেটের ওপর গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম চলছে।
এর মধ্যে কোটবাড়ী এলাকার কুমিল্লা সিটি কলেজের অনুমোদন থাকলেও বিজ্ঞান শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন নেই। কিন্তু ওই শাখাতে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
অনুমোদনহীন বাকি নয়টি কলেজ হলো, কুমিল্লা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লা বিজ্ঞান কলেজ, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার এলাকায় অবস্থিত ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, চৌদ্দগ্রামের কলেজ অব ব্রিটিশ কনসার্ন, ফেনী সিটি কলেজ, ফেনীর পদুয়া এলাকায় বীকন মডেল কলেজ ও ক্যামব্রিয়েট কলেজ, চাঁদপুরের চাঁদপুর সিটি কলেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞান কলেজ। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনুমোদিত ২৯৬টি কলেজের নামের তালিকায় এ প্রতিষ্ঠানগুলো নেই।
অনুমোদন না থাকার কথা স্বীকার করে কুমিল্লা ক্যামব্রিয়ান কলেজের উপাধ্যক্ষ মাধব চন্দ্র সিংহ প্রথম আলোকে বলেন, অনুমোদনের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
অনুমোদন ছাড়া কুমিল্লা সিটি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ ইফতেখার আলম ভূঁইয়া বলেন, অনুমোদনের জন্য বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোটবাড়ী এলাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজও ভাড়া বাড়িতে কার্যক্রম শুরু করেছে। কুমিল্লা বিজ্ঞান কলেজ স্থাপন করা হয়েছে আদর্শ সদর উপজেলার কুচাইতলী এলাকায় দ্বিতল একটি ভবনের দোতলার পাঁচটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে। ওই কলেজের নিচতলায় রয়েছে দোকানপাট। তারাও অনুমোদন না নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বালিকা বিদ্যালয় সড়কের ভূঁইয়া ভিলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘কলেজ অব ব্রিটিশ কনসার্ন’। ওই কলেজের অনুমোদনের জন্য জেলার এক সাংসদ গত ২৭ মে বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ করেন।
ফেনী শহরের পাঁচগাছিয়া সড়কে ফেনী সিটি কলেজ, একই শহরের পাঠান বাড়ি সড়কে ক্যামব্রিয়েট কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভাড়া বাড়িতেই এসব কলেজের কার্যক্রম চলছে। তাছাড়া ফেনীর পদুয়া এলাকায় বীকন মডেল কলেজের কার্যক্রম চলছে টিনশেডের দুই কক্ষের একটি ভবনে। অনুমোদন ছাড়াই এ কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।
অনুমোদন না থাকার কথা স্বীকার করে এসব কলেজের অধ্যক্ষরা বলেন, তাঁরা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছেন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মো. নিজামুল করিম বলেন, ‘বোর্ড আগেই অনুমোদনহীন কলেজের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে। ইতিমধ্যে এসব কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তার পরও কেউ যদি সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোতে ভর্তি হয়, এর দায়দায়িত্ব তাঁদেরই নিতে হবে।’
বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কুণ্ডু গোপী দাস প্রথম আলোকে বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে কিছু নীতিমালা মেনে চলতে হয়। অনুমোদনহীন কলেজগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অনুমোদিত কলেজের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রথম আলো..
ওই প্রতিষ্ঠানটির মতো কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীন ছয়টি জেলায় অনুমোদনহীন আরও ১০টি কলেজের সন্ধান মিলেছে। এসব কলেজের বেশির ভাগই বাসাবাড়ি অথবা মার্কেটের ওপর গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম চলছে।
এর মধ্যে কোটবাড়ী এলাকার কুমিল্লা সিটি কলেজের অনুমোদন থাকলেও বিজ্ঞান শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন নেই। কিন্তু ওই শাখাতে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
অনুমোদনহীন বাকি নয়টি কলেজ হলো, কুমিল্লা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লা বিজ্ঞান কলেজ, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার এলাকায় অবস্থিত ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, চৌদ্দগ্রামের কলেজ অব ব্রিটিশ কনসার্ন, ফেনী সিটি কলেজ, ফেনীর পদুয়া এলাকায় বীকন মডেল কলেজ ও ক্যামব্রিয়েট কলেজ, চাঁদপুরের চাঁদপুর সিটি কলেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞান কলেজ। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনুমোদিত ২৯৬টি কলেজের নামের তালিকায় এ প্রতিষ্ঠানগুলো নেই।
অনুমোদন না থাকার কথা স্বীকার করে কুমিল্লা ক্যামব্রিয়ান কলেজের উপাধ্যক্ষ মাধব চন্দ্র সিংহ প্রথম আলোকে বলেন, অনুমোদনের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
অনুমোদন ছাড়া কুমিল্লা সিটি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ ইফতেখার আলম ভূঁইয়া বলেন, অনুমোদনের জন্য বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোটবাড়ী এলাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজও ভাড়া বাড়িতে কার্যক্রম শুরু করেছে। কুমিল্লা বিজ্ঞান কলেজ স্থাপন করা হয়েছে আদর্শ সদর উপজেলার কুচাইতলী এলাকায় দ্বিতল একটি ভবনের দোতলার পাঁচটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে। ওই কলেজের নিচতলায় রয়েছে দোকানপাট। তারাও অনুমোদন না নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বালিকা বিদ্যালয় সড়কের ভূঁইয়া ভিলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘কলেজ অব ব্রিটিশ কনসার্ন’। ওই কলেজের অনুমোদনের জন্য জেলার এক সাংসদ গত ২৭ মে বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ করেন।
ফেনী শহরের পাঁচগাছিয়া সড়কে ফেনী সিটি কলেজ, একই শহরের পাঠান বাড়ি সড়কে ক্যামব্রিয়েট কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভাড়া বাড়িতেই এসব কলেজের কার্যক্রম চলছে। তাছাড়া ফেনীর পদুয়া এলাকায় বীকন মডেল কলেজের কার্যক্রম চলছে টিনশেডের দুই কক্ষের একটি ভবনে। অনুমোদন ছাড়াই এ কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।
অনুমোদন না থাকার কথা স্বীকার করে এসব কলেজের অধ্যক্ষরা বলেন, তাঁরা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছেন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মো. নিজামুল করিম বলেন, ‘বোর্ড আগেই অনুমোদনহীন কলেজের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে। ইতিমধ্যে এসব কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তার পরও কেউ যদি সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোতে ভর্তি হয়, এর দায়দায়িত্ব তাঁদেরই নিতে হবে।’
বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কুণ্ডু গোপী দাস প্রথম আলোকে বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে কিছু নীতিমালা মেনে চলতে হয়। অনুমোদনহীন কলেজগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অনুমোদিত কলেজের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রথম আলো..




১২:৪২ PM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন