কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদি পিটিয়েই চলছেন। এবার তিনি বেধড়ক পিটিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে। বিদ্যালয়ের মাঠ দখলে বাধা দেওয়ায় রোববার রাতে তাঁকে ডেকে নিয়ে পেটান। বদিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ছাত্র-শিক্ষক ও জাতীয় পার্টি (জাপা) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
জানা গেছে, ওই শিক্ষকের নাম এম এ মনজুর (৪৬)। তিনি বাহারছড়া শামলাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি জাপা (এরশাদ) টেকনাফ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বাহারছড়া বাজার কমিটির সভাপতি।
সাংসদ বদি এর আগেও সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলী, ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবী, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারি কর্মকর্তাকে পিটিয়ে সারা দেশে বিতর্কের জন্ম দেন।
মনজুর অভিযোগ করেন, টেকনাফ পৌরসভার হোটেল গ্রিন গার্ডেনের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে সাংসদ বদি নিজে লাঠি দিয়ে তাঁকে কয়েক দফা পেটান। এরপর তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। রাত নয়টার দিকে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিলে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গভীর রাতে তাঁকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গতকাল বিকেলে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষক মনজুরের শরীর ফোলা। ব্যথায় নড়াচড়া করতে পারছেন না। একপর্যায়ে কান্নাকাটি করে বলেন, ‘আমি সাংসদ বদির কী ক্ষতি করেছিলাম? লাঠি দিয়ে গরুর মতো পিটিয়েছেন।’
এ সময় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি দিয়ে সাংসদ বদিকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে। ১২ জুলাই শহরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
তবে সাংসদ বদি মনজুরকে মারধরের ঘটনা ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের কিছু জমি দখলের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক মনজুর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গালমন্দ করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত দলের কিছু নেতা-কর্মী প্রতিবাদ করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে মনজুরসহ কয়েকজন আহত হন বলে শুনেছি।’ তবে মনজুর প্রধানমন্ত্রীকে গালমন্দ করার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়ন ওলামা লীগের সভাপতি আজিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল ক্যাডার শামলাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করতে যায়। ওই সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজুর, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বাধা দেন। পরে আজিজ সাংসদ বদির কাছে নালিশ দেন।
আজিজ দাবি করেন, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের বাইরে এক খণ্ড জমিতে তাঁরা স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় করতে চেয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের নেতা সাইফুল্লাহ বলেন, সাংসদ বদির কবল থেকে মনজুরকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও মারধরের শিকার হন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক বলেন, ‘খেলার মাঠে দলীয় কার্যালয় তৈরির ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারিতে শিক্ষক মনজুর আহত হন বলে শুনেছি। সাংসদ তাঁকে মারধর করেছেন কি না, জানি না।’
প্রতিবাদ-বিক্ষোভ: মনজুরকে মারধরের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সকাল-সন্ধ্যা শামলাপুর বাজারের কয়েক শ দোকানপাট বন্ধ ছিল। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সাংসদ বদির শাস্তির দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
মনজুরকে মারধরের প্রতিবাদ এবং সাংসদ বদির শাস্তির দাবিতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের পাবলিক হল মাঠে জেলা জাতীয় পার্টি সমাবেশ করেছে। জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা বদিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদ বদিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্পিকার বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা না হলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ওই শিক্ষকের নাম এম এ মনজুর (৪৬)। তিনি বাহারছড়া শামলাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি জাপা (এরশাদ) টেকনাফ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বাহারছড়া বাজার কমিটির সভাপতি।
সাংসদ বদি এর আগেও সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলী, ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবী, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারি কর্মকর্তাকে পিটিয়ে সারা দেশে বিতর্কের জন্ম দেন।
মনজুর অভিযোগ করেন, টেকনাফ পৌরসভার হোটেল গ্রিন গার্ডেনের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে সাংসদ বদি নিজে লাঠি দিয়ে তাঁকে কয়েক দফা পেটান। এরপর তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। রাত নয়টার দিকে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিলে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গভীর রাতে তাঁকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গতকাল বিকেলে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষক মনজুরের শরীর ফোলা। ব্যথায় নড়াচড়া করতে পারছেন না। একপর্যায়ে কান্নাকাটি করে বলেন, ‘আমি সাংসদ বদির কী ক্ষতি করেছিলাম? লাঠি দিয়ে গরুর মতো পিটিয়েছেন।’
এ সময় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি দিয়ে সাংসদ বদিকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে। ১২ জুলাই শহরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
তবে সাংসদ বদি মনজুরকে মারধরের ঘটনা ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের কিছু জমি দখলের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক মনজুর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গালমন্দ করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত দলের কিছু নেতা-কর্মী প্রতিবাদ করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে মনজুরসহ কয়েকজন আহত হন বলে শুনেছি।’ তবে মনজুর প্রধানমন্ত্রীকে গালমন্দ করার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়ন ওলামা লীগের সভাপতি আজিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল ক্যাডার শামলাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করতে যায়। ওই সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজুর, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বাধা দেন। পরে আজিজ সাংসদ বদির কাছে নালিশ দেন।
আজিজ দাবি করেন, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের বাইরে এক খণ্ড জমিতে তাঁরা স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় করতে চেয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের নেতা সাইফুল্লাহ বলেন, সাংসদ বদির কবল থেকে মনজুরকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও মারধরের শিকার হন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক বলেন, ‘খেলার মাঠে দলীয় কার্যালয় তৈরির ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারিতে শিক্ষক মনজুর আহত হন বলে শুনেছি। সাংসদ তাঁকে মারধর করেছেন কি না, জানি না।’
প্রতিবাদ-বিক্ষোভ: মনজুরকে মারধরের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সকাল-সন্ধ্যা শামলাপুর বাজারের কয়েক শ দোকানপাট বন্ধ ছিল। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সাংসদ বদির শাস্তির দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
মনজুরকে মারধরের প্রতিবাদ এবং সাংসদ বদির শাস্তির দাবিতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের পাবলিক হল মাঠে জেলা জাতীয় পার্টি সমাবেশ করেছে। জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা বদিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদ বদিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্পিকার বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা না হলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
prothom alo




২:১৪ PM
মম
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন