মেঙ্েিকা সরকার পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা তৈরি করতে সমুদ্রতলে প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে জাদুঘর। কানকুনের ইসলা নুজারিস দ্বীপের ন্যাশনাল পার্কে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বের বৃহৎ এ সমুদ্রতলের জাদুঘর
মেঙ্েিকার কানকুনের মেরিন ন্যাশনাল পার্কটি খুবই মনোহর। প্রতিবছর এখানে ঘুরতে আসেন প্রায় আট লাখ পর্যটক। এত পর্যটকের চাপে এখানকার সমুদ্রসৈকত হাঁপিয়ে উঠেছে, নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্যও। তাই পার্ক থেকে পর্যটকের দৃষ্টি সরাতে বিকল্প কিছু করার চিন্তা করল কর্তৃপক্ষ। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইসলা নুজারিস দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে 'কানকুন ন্যাশনাল পার্ক' নামের একটি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হলো। সমুদ্রতলের এ জাদুঘরে বসবে ৪০০ স্থাপনা। ২০০৯ সালের নভেম্বরে প্রথম দফায় এটির কাজ শুরু হয় এবং ২০১০ সালের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে বেশির ভাগ ভাস্কর্য। এখন চলছে জাদুঘরটি সাজিয়ে-গুছিয়ে তোলার কাজ। এ বছরের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ হতে পারে। তবে পর্যটকদের আর তর সইছে না, ইতিমধ্যেই হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করছেন জাদুঘর দেখার জন্য। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বছরের শেষ দিকে পর্যটকদের জন্য জাদুঘরটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হতে পারে।
সাগরতলের এই অসাধারণ জাদুঘরের কংক্রিটের স্থাপনাগুলো তৈরি করছেন বিখ্যাত ব্রিটিশ ভাস্কর জেসন ডি কেয়ারস টেইলর। এখানে স্থাপিত ৪০০ ভাস্কর্য তৈরিতে ব্যয় হবে সাড়ে তিন লাখ মার্কিন ডলার। বিখ্যাত এ সমুদ্রতলের ভাস্কর্য নির্মাণশিল্পীর প্রথম ভাস্কর্য স্থাপিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্রানাডা পার্কে। কংক্রিটের ভাস্কর্যগুলো বানানো হচ্ছে খুবই নিখুঁত ডিজাইনে এবং পরে তা পানির নিচে নামিয়ে স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিটি ভাস্কর্যই একেকটি ভাব প্রকাশ করছে। পরিবেশ রক্ষা থেকে শুরু করে মানুষের ব্যক্তিগত চিন্তাচেতনার উপস্থাপনভঙ্গিও ভাস্কর্যগুলোতে প্রকাশ পেয়েছে। সম্মিলিত প্রয়াসে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাই এ জাদুঘরের মূল বিষয়বস্তু বা 'থিম' করা হয়েছে।
কানকুনের প্রাকৃতিক পার্কে পর্যটকদের এতই ভিড় যে জীববৈচিত্র্য ও সমুদ্রসৈকত রীতিমতো ধ্বংসের পথে যাচ্ছিল। ১৯৯৭ সালে একটি পর্যটক জাহাজ দুর্ঘটনায় প্রায় ৫০০ কিলোমিটার কোরাল-স্তর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ পার্কে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে আধুনিক বিশ্বে যখন পর্যটন খাত খুবই লাভজনক ব্যবসা এবং বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভের জন্য পর্যটন খাতকে সবাই উন্নত করার পরামর্শ দিচ্ছে, তখন তো পর্যটক আসা বন্ধ করা যায় না। অবশেষে ২০০৫ সালে কংক্রিটের ব্লক ও ১০০-র বেশি পিলার দিয়ে কৃত্রিম আস্তরণ তৈরি করা হয়। এতে কাজও হলো, এখন আবার ১৯৯৭ সালের ধ্বংস হওয়া কোরাল-স্তর আগের রূপ নিয়েছে। মূলত একটি পার্ক থেকে পর্যটকদের মনোযোগ ভিন্নমুখী করাতেই ন্যাশনাল পার্কে পানির নিচে এ জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তবে সমুদ্রতলে কংক্রিটের ভাস্কর্য স্থাপনই বা কতটা পরিবেশবান্ধব এবং বৃহৎ এ স্থাপনার কাজে সমুদ্রতলের জীববৈচিত্র্যই বা কতটা হুমকির মুখে পড়বে? এ প্রসঙ্গে নির্মাতা টেইলর বলেন, ভাস্কর্য স্থাপনের কোরাল-স্তর বা অন্য জীববৈচিত্র্য নষ্ট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছুই ভাস্কর্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি। তা ছাড়া ভাস্কর্য স্থাপনের সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সেগুলো নিজেই সমুদ্রতলের জীববৈচিত্র্যে রূপ নিচ্ছে।
* সজল সরকার.. কালের কন্ঠ.
সাগরতলের এই অসাধারণ জাদুঘরের কংক্রিটের স্থাপনাগুলো তৈরি করছেন বিখ্যাত ব্রিটিশ ভাস্কর জেসন ডি কেয়ারস টেইলর। এখানে স্থাপিত ৪০০ ভাস্কর্য তৈরিতে ব্যয় হবে সাড়ে তিন লাখ মার্কিন ডলার। বিখ্যাত এ সমুদ্রতলের ভাস্কর্য নির্মাণশিল্পীর প্রথম ভাস্কর্য স্থাপিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্রানাডা পার্কে। কংক্রিটের ভাস্কর্যগুলো বানানো হচ্ছে খুবই নিখুঁত ডিজাইনে এবং পরে তা পানির নিচে নামিয়ে স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিটি ভাস্কর্যই একেকটি ভাব প্রকাশ করছে। পরিবেশ রক্ষা থেকে শুরু করে মানুষের ব্যক্তিগত চিন্তাচেতনার উপস্থাপনভঙ্গিও ভাস্কর্যগুলোতে প্রকাশ পেয়েছে। সম্মিলিত প্রয়াসে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাই এ জাদুঘরের মূল বিষয়বস্তু বা 'থিম' করা হয়েছে।
কানকুনের প্রাকৃতিক পার্কে পর্যটকদের এতই ভিড় যে জীববৈচিত্র্য ও সমুদ্রসৈকত রীতিমতো ধ্বংসের পথে যাচ্ছিল। ১৯৯৭ সালে একটি পর্যটক জাহাজ দুর্ঘটনায় প্রায় ৫০০ কিলোমিটার কোরাল-স্তর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ পার্কে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে আধুনিক বিশ্বে যখন পর্যটন খাত খুবই লাভজনক ব্যবসা এবং বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভের জন্য পর্যটন খাতকে সবাই উন্নত করার পরামর্শ দিচ্ছে, তখন তো পর্যটক আসা বন্ধ করা যায় না। অবশেষে ২০০৫ সালে কংক্রিটের ব্লক ও ১০০-র বেশি পিলার দিয়ে কৃত্রিম আস্তরণ তৈরি করা হয়। এতে কাজও হলো, এখন আবার ১৯৯৭ সালের ধ্বংস হওয়া কোরাল-স্তর আগের রূপ নিয়েছে। মূলত একটি পার্ক থেকে পর্যটকদের মনোযোগ ভিন্নমুখী করাতেই ন্যাশনাল পার্কে পানির নিচে এ জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তবে সমুদ্রতলে কংক্রিটের ভাস্কর্য স্থাপনই বা কতটা পরিবেশবান্ধব এবং বৃহৎ এ স্থাপনার কাজে সমুদ্রতলের জীববৈচিত্র্যই বা কতটা হুমকির মুখে পড়বে? এ প্রসঙ্গে নির্মাতা টেইলর বলেন, ভাস্কর্য স্থাপনের কোরাল-স্তর বা অন্য জীববৈচিত্র্য নষ্ট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছুই ভাস্কর্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি। তা ছাড়া ভাস্কর্য স্থাপনের সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সেগুলো নিজেই সমুদ্রতলের জীববৈচিত্র্যে রূপ নিচ্ছে।
* সজল সরকার.. কালের কন্ঠ.




৫:০১ PM
মম
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন