ষাটোর্ধ্ব সালেহা বেগম স্বামী-সন্তানের সঙ্গে নোয়াখালী থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় আসছিলেন। বসেছিলেন বগির দরজার কাছের আসনে। গলায় ঝোলানো ছিল ভ্যানিটি ব্যাগ। ট্রেনটি ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে ছাড়ার পর পরই ছিনতাইকারী হেঁচকা টান দেয় ব্যাগটি ধরে। ওই টানে ব্যাগসহ চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে প্রাণ হারান সালেহা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। বিমানবন্দর স্টেশনের কাছে খিলক্ষেতের কাওলায় রেললাইনের পাশ থেকে গতকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে উদ্ধার করা হয় সালেহার লাশ। গলার সমস্যায় ভোগা সালেহা চিকিৎসক দেখাতে স্বামী-সন্তানের সঙ্গে ঢাকায় আসছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
গতকাল মর্গে বৃদ্ধার ছেলে শাহদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ধন্যপুরে। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে তাঁরা নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। তাঁর মা-বাবা বসেন বগির দরজার কাছের আসনে; তাঁর আসন ছিল কয়েক সারি পেছনে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশনে থামে। কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে ট্রেন ধীরগতিতে চলছিল। এ সময় তাঁর মায়ের ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে বাইরে থেকে এক যুবক হেঁচকা টান দেয়। ওই যুবকের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। তাঁর মা চিৎকার করার পর পরই ব্যাগসহ ট্রেন থেকে পড়ে যান। এরই মধ্যে ট্রেনের গতি বেড়ে যায়। তিনিসহ অন্য যাত্রীরা অনুনয়-অনুরোধ করলেও ট্রেনে কর্তব্যরত কর্মীরা ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করেননি। তাঁরাও ট্রেন থেকে নামতে পারেননি।
শাহদাত বলেন, ট্রেনে থেকেই মুঠোফোনে ঘটনাটি তিনি রামপুরার বনশ্রীতে বসবাসরত বড় বোন-ভগ্নিপতিকে জানান। ট্রেন কমলাপুর রেলস্টেশনে থামার পর তাঁরা নামেন। খবর পেয়ে কমলাপুরে আসা স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা বিমানবন্দর স্টেশন থেকে রেললাইন ধরে খুঁজেও মাকে পাননি। পরে বিষয়টি তাঁরা থানায় জানিয়ে ফিরে আসেন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে পুলিশ লাশ পাওয়ার কথা জানালে তাঁরা থানায় গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। তবে ওই ব্যাগ পাওয়া যায়নি।
সালেহার স্বামী আবদুল মজিদ বলেন, হঠাৎ চিৎকার করে স্ত্রীকে দাঁড়াতে দেখলেও প্রথমে তিনি কিছু বুঝতে পারেননি। পরে দেখেন, পাশে স্ত্রী নেই। চিৎকার শুনে ছেলে এসে বিষয়টি বুঝতে পারেন।
বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সালেহা ট্রেন থেকে পড়ে গেলেও ট্রেনটি সেখানে না থামিয়ে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে থামে। এরপর স্বজনেরা ঘটনাস্থলের আশপাশের রেললাইন ধরে খুঁজে তাঁকে না পেয়ে বিষয়টি থানায় জানান। রাত সোয়া তিনটার দিকে টহল পুলিশ কাওলায় রেললাইনের পাশে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় সালেহা বেগমের লাশ পায়। তাঁর সারা শরীরে থেঁতলানো জখমের চিহ্ন রয়েছে।
স্বজনেরা জানান, সালেহা দুই মেয়ে ও দুই ছেলের জননী। ঢাকায় তাঁর বড় মেয়ে মহসিনা নাসরিনের বনশ্রীর বাসায় ওঠার কথা ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নোয়াখালী নিয়ে যাওয়া হয়।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা জিআরপি থানা জানায়, ওই ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। নিহত বৃদ্ধার স্বজনেরা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় রেলের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। বিমানবন্দর স্টেশনের কাছে খিলক্ষেতের কাওলায় রেললাইনের পাশ থেকে গতকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে উদ্ধার করা হয় সালেহার লাশ। গলার সমস্যায় ভোগা সালেহা চিকিৎসক দেখাতে স্বামী-সন্তানের সঙ্গে ঢাকায় আসছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
গতকাল মর্গে বৃদ্ধার ছেলে শাহদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ধন্যপুরে। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে তাঁরা নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। তাঁর মা-বাবা বসেন বগির দরজার কাছের আসনে; তাঁর আসন ছিল কয়েক সারি পেছনে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশনে থামে। কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে ট্রেন ধীরগতিতে চলছিল। এ সময় তাঁর মায়ের ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে বাইরে থেকে এক যুবক হেঁচকা টান দেয়। ওই যুবকের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। তাঁর মা চিৎকার করার পর পরই ব্যাগসহ ট্রেন থেকে পড়ে যান। এরই মধ্যে ট্রেনের গতি বেড়ে যায়। তিনিসহ অন্য যাত্রীরা অনুনয়-অনুরোধ করলেও ট্রেনে কর্তব্যরত কর্মীরা ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করেননি। তাঁরাও ট্রেন থেকে নামতে পারেননি।
শাহদাত বলেন, ট্রেনে থেকেই মুঠোফোনে ঘটনাটি তিনি রামপুরার বনশ্রীতে বসবাসরত বড় বোন-ভগ্নিপতিকে জানান। ট্রেন কমলাপুর রেলস্টেশনে থামার পর তাঁরা নামেন। খবর পেয়ে কমলাপুরে আসা স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা বিমানবন্দর স্টেশন থেকে রেললাইন ধরে খুঁজেও মাকে পাননি। পরে বিষয়টি তাঁরা থানায় জানিয়ে ফিরে আসেন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে পুলিশ লাশ পাওয়ার কথা জানালে তাঁরা থানায় গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। তবে ওই ব্যাগ পাওয়া যায়নি।
সালেহার স্বামী আবদুল মজিদ বলেন, হঠাৎ চিৎকার করে স্ত্রীকে দাঁড়াতে দেখলেও প্রথমে তিনি কিছু বুঝতে পারেননি। পরে দেখেন, পাশে স্ত্রী নেই। চিৎকার শুনে ছেলে এসে বিষয়টি বুঝতে পারেন।
বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সালেহা ট্রেন থেকে পড়ে গেলেও ট্রেনটি সেখানে না থামিয়ে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে থামে। এরপর স্বজনেরা ঘটনাস্থলের আশপাশের রেললাইন ধরে খুঁজে তাঁকে না পেয়ে বিষয়টি থানায় জানান। রাত সোয়া তিনটার দিকে টহল পুলিশ কাওলায় রেললাইনের পাশে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় সালেহা বেগমের লাশ পায়। তাঁর সারা শরীরে থেঁতলানো জখমের চিহ্ন রয়েছে।
স্বজনেরা জানান, সালেহা দুই মেয়ে ও দুই ছেলের জননী। ঢাকায় তাঁর বড় মেয়ে মহসিনা নাসরিনের বনশ্রীর বাসায় ওঠার কথা ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নোয়াখালী নিয়ে যাওয়া হয়।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা জিআরপি থানা জানায়, ওই ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। নিহত বৃদ্ধার স্বজনেরা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় রেলের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়।




২:১১ PM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন