সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন শিশুটির মা। নয় দিন ধরে তিনি অজ্ঞান। শিশুটির অসহায় চাহনিতে মায়ের জ্ঞান ফেরার আকুলতা। গতকাল ছবিটি তুলেছেন জিয়া ইসলাম
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে নয় দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংজ্ঞাহীন হয়ে আছেন এই নারী। তাঁর সঙ্গে আছে শিশুটিও।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ৩০ জুলাই সকালে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার বিটাক সড়ক পার হওয়ার সময় একটি প্রাইভেট কারের ধাক্কায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান ওই নারী। এ সময় তাঁর কোলে শিশুটিও ছিল। তবে দুর্ঘটনা থেকে শিশুটি বেঁচে যায়। আহত হওয়ার পর পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়, সঙ্গে শিশুটিকেও।
হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, ওই নারী ও শিশুটি সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না। জ্ঞান না থাকায় নারীর নাম জানা যায়নি। আবার শিশুটিও নিজের নাম বলতে পারে না। তবে হাসপাতালে আসার পর শিশুটি একটি নাম পেয়েছে। পাশের এক রোগীর স্বজন শিশুটির নাম রেখেছেন রুপালি। তাঁর ভাশুরের একই বয়সের মেয়ে সোনালি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকি ৎ সাধীন। সোনালির সঙ্গে মিল রেখে তিনি শিশুটির নাম দিয়েছেন রুপালি। নাম না জানায় শিশুটি এখন রুপালি নামেই সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বেল্লাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার পর মোটরসাইকেলে করে প্রাইভেট কারটিকে ধাওয়া করা হয়েছিল। কিন্তু গাড়িটিকে আর ধরা যায়নি। ওই নারী শিশুটিকে নিয়ে কলোনি বাজারে থাকতেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
গতকাল সোমবার কলোনি বাজার এলাকায় গেলে সেখানকার বাসিন্দা সালমা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে ওই নারী কলোনি বাজারে আছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটি ওই নারীর বিছানায় শুয়ে হাত-পা ছুড়ছে। কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলেই শুধু মাথা নাড়ছে। পাশের রোগীরা জানান, ওয়ার্ডে সবার আদরের হয়ে উঠেছে শিশুটি। রাতের বেলায় সে মায়ের সঙ্গে ঘুমায়, অজ্ঞান মায়ের দুধও পান করে।




২:০৪ PM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন