হাসানুর রশীদ : গর্জনিয়া ,চট্টগ্রাম থেকে : মূলত শিক্ষকদের অভিবাবকের পরেই স্থান দেয়া হয়। নিজের বাবা-মার পর শিক্ষকদের মাঝেই আশ্রয় খুঁজে পান শিক্ষার্থীরা। কিন্তু শিক্ষক দ্বারা ছাত্রী নির্যাতন দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। বর্তমানে কিছু শিক্ষক নামধারী পশু ছাত্রীদের রক্ষকের পরিবর্তে ভক্ষক রূপে প্রতিনিয়ত অর্বিভূত হচ্ছে। এবার কঙ্বাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের থোয়াইংগাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৩) প্রধান শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার হয়ে পাঁচ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষক একেএম মিজানুর রহমান (৪০) তা ধামা-চাপা দিতে উঠে-পড়ে লেগেছেন। ওই ছাত্রীর বাড়ি উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি এলাকায়।
ধর্ষিতা ছাত্রীর বাবা মনির আহমদ জানান, প্রায় পাঁচ মাস আগে বিদ্যালয় ছুটি হলে প্রধান শিক্ষক একেএম মিজানুর রহমান তার মেয়েকে বিদ্যালয় কক্ষ ঝাড়ু দেয়ার কথা বলে রেখে দেন। ছুটির পর সবাই চলে গেলে তাকে বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একটি ভবনের কক্ষে নিয়ে মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য তার মেয়েকে ভয়-ভীতি ও হুমকি দেন ওই প্রধান শিক্ষক। দীর্ঘদিন ভয় ও লজ্জায় এ ঘটনাটি কাউকে প্রকাশ করেনি তার মেয়ে। সম্প্রতি শারিরীক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে মেয়ে বিষয়টি তার মাকে বলতে বাধ্য হয়। প্রধান শিক্ষকের লালসার শিকার হয়ে বর্তমানে ওই ছাত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্তা হয়ে পড়েছে। নিরুপায় হয়ে সমপ্রতি এ বিষয়ে তারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্য্লাহ চৌধুরীকে অবহিত করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন, 'ঘটনাটি শুনেই আমি ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে অভিভাবক ও তার সাথে কথা বলেছি। ওই ছাত্রীর মুখে পুরো ঘটনাটি শুনে আমি হতবাক। আসলে যা ঘটেছে খুবই দুঃখজনক।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এলাকার প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।'
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক একেএম মিজানুর রহমান বলেন, 'বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্য্লাহ চৌধুরীর মাধ্যমে মিমাংসা করা হয়েছে। উপবৃত্তি না দেয়ার কারণে এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।'
পাঁচ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'গত ছয়মাস ধরে ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।'
তবে বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১, ২, ১৩ ও সর্বশেষ ১৬ জুনও ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলো বলে হাজিরা খাতায় তা উল্লেখ রয়েছে।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী বলেন, 'ঘটনাটি সত্য। ওই মেয়ের বাবা-মা আমার কাছে এসেছে। আমি তাদের আগে একটি থানায় সাধারণ ডাইরি করতে বলেছি।'




৩:১৯ PM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন