চরমপন্থী দুখু বাহিনী নয়, মায়ের পরকীয়ার বলি হয়েছে মেহেরপুরের স্কুলছাত্র ইরান-উল হক। পথের কাঁটা সরাতে ইরানকে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে হত্যা করেন তার বিধবা মায়ের প্রেমিক আহমেদ শরীফ ওরফে দীপু (২৬)।
গত সোমবার মেহেরপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসুদ আলীর আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আহমেদ শরীফ। তাঁর বাড়ি জেলার গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের ধলা গ্রামে।
৫ আগস্ট শুক্রবার সকালে কাথুলীর ধলা রাধাগোবিন্দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশের মাঠ থেকে শিশু ইরানের (১০) জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ইরান ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র ছিল। এর আগে ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট রাতে চরমপন্থী দুখু বাহিনী ইরানের সামনে তার বাবা এমদাদুল হক ও দুই চাচাকে বাড়ির উঠানে জবাই করে খুন করে। ইরান ওই ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী থাকায় শুক্রবার পুলিশ ও ইরানের মা ধারণা করেছিলেন চরমপন্থী দুখু বাহিনীই ইরানকে খুন করেছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমল কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ইরানের হত্যার এক দিন পর তার মা বারবার ‘আমি কার বিচার চাইব’ বলে আর্তনাদ করেন। এতে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। তখন ইরানের মা পুলিশকে আহমেদ শরীফের কথা বলেন।
এরপর মেহেরপুর সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান ও গাংনী থানার ওসি যৌথভাবে আহমেদকে রোববার দুপুরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে অনুশোচনা প্রকাশ করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে আহমেদ শরীফ বলেন, ইরানের বাবার মৃত্যুর পর ইরানের মায়ের সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সন্তানের মা হওয়ায় শরীফের পরিবার এই সম্পর্কে আপত্তি জানায়। আবার মেলামেশা দেখলেই ইরান তার মাকে বলত, ‘মা, বাপজি তোকে খুব ভালোবাসত, তুই কাউকে নিকে করিস নে।’ তখন মায়ের মনটা ভেঙে যেত। এভাবে ইরান তাঁর পরকীয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
পুলিশ সুপার মো. শাহরিয়ার বলেন, ইরান হত্যার জন্য পুলিশ প্রথমে সন্ত্রাসী চরমপন্থী দুখু বাহিনীকে সন্দেহ করেছিল। পরে তার মায়ের প্রশ্নবোধক কান্নায় পুলিশের সন্দেহ হলে দুই দিনের ব্যবধানে এই খুনের রহস্য বের হলো। ফলে এই মামলায় সন্দেহজনকভাবে চারজনকে আটক করা হলেও এখন মামলায় আহমেদ শরীফ ছাড়া অন্য কেউ আসামি নয়।
গত সোমবার মেহেরপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসুদ আলীর আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আহমেদ শরীফ। তাঁর বাড়ি জেলার গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের ধলা গ্রামে।
৫ আগস্ট শুক্রবার সকালে কাথুলীর ধলা রাধাগোবিন্দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশের মাঠ থেকে শিশু ইরানের (১০) জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ইরান ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র ছিল। এর আগে ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট রাতে চরমপন্থী দুখু বাহিনী ইরানের সামনে তার বাবা এমদাদুল হক ও দুই চাচাকে বাড়ির উঠানে জবাই করে খুন করে। ইরান ওই ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী থাকায় শুক্রবার পুলিশ ও ইরানের মা ধারণা করেছিলেন চরমপন্থী দুখু বাহিনীই ইরানকে খুন করেছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমল কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ইরানের হত্যার এক দিন পর তার মা বারবার ‘আমি কার বিচার চাইব’ বলে আর্তনাদ করেন। এতে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। তখন ইরানের মা পুলিশকে আহমেদ শরীফের কথা বলেন।
এরপর মেহেরপুর সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান ও গাংনী থানার ওসি যৌথভাবে আহমেদকে রোববার দুপুরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে অনুশোচনা প্রকাশ করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে আহমেদ শরীফ বলেন, ইরানের বাবার মৃত্যুর পর ইরানের মায়ের সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সন্তানের মা হওয়ায় শরীফের পরিবার এই সম্পর্কে আপত্তি জানায়। আবার মেলামেশা দেখলেই ইরান তার মাকে বলত, ‘মা, বাপজি তোকে খুব ভালোবাসত, তুই কাউকে নিকে করিস নে।’ তখন মায়ের মনটা ভেঙে যেত। এভাবে ইরান তাঁর পরকীয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
পুলিশ সুপার মো. শাহরিয়ার বলেন, ইরান হত্যার জন্য পুলিশ প্রথমে সন্ত্রাসী চরমপন্থী দুখু বাহিনীকে সন্দেহ করেছিল। পরে তার মায়ের প্রশ্নবোধক কান্নায় পুলিশের সন্দেহ হলে দুই দিনের ব্যবধানে এই খুনের রহস্য বের হলো। ফলে এই মামলায় সন্দেহজনকভাবে চারজনকে আটক করা হলেও এখন মামলায় আহমেদ শরীফ ছাড়া অন্য কেউ আসামি নয়।
প্রথম আলো




৪:০৭ PM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন