স্লাভোলজাব তানাস্কোভিকবিশ্বের বেশির ভাগ দেশ যেখানে জনসংখ্যার চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে সার্বিয়ার পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। মানুষের অভাবে দেশটির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হতে বসেছে। তারা চাইছে জনসংখ্যা বাড়ুক। জনসংখ্যা বাড়াতে দেশটির কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত জাগোদিনা শহরের মেয়র দ্রাগান মার্কোভিক গত বৃহস্পতিবার এক অভিনব উদ্যোগ নেন। আয়োজন করেন ভালোবাসার ভোজের।
৩৮ বছরের বেশি বয়সী ১৫০ জন নারী ও ১৫০ জন পুরুষকে এই ভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁরা ছিলেন পরস্পরের অপরিচিত। গ্রিক উপকূলে বিনা খরচে এক দিনের ছুটি কাটানোর সুযোগ দেওয়া হয় তাঁদের, যাতে তাঁরা পরস্পর পছন্দের সঙ্গী বেছে নিতে পারেন, যা এনে দিতে পারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সুযোগ। এই ছুটি কাটানোর পুরো ব্যয় বহন করে স্থানীয় পৌরসভা।
স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় এসব নারী-পুরুষের সাক্ষাতের জন্য নৈশভোজের ব্যবস্থা করা হয়। নম্বর দেওয়া নির্দিষ্ট আসনে বসেন অবিবাহিত নারী-পুরুষেরা। নিজ নিজ সঙ্গীকে উপহার দেওয়ার জন্য প্রত্যেক পুরুষকে একটি করে লাল গোলাপ দেওয়া হয়। শুরুতে এসব জুটি কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে ছিল। তাঁদের এ অস্বস্তি কাটাতে মেয়র নিজেই উদ্যোগ নেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কমে যেতে থাকা জনসংখ্যা সমস্যার সঙ্গে লড়ছি।’
এ সমস্যা কাটাতে জুটিদের পরিবার গঠনে উৎসাহ দিয়ে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এসব আশ্বাসের মধ্যে আছে, বিদ্যালয়গামী শিশুদের জন্য বাস এবং বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বরাদ্দ, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও নতুন বাবা-মার জন্য নগদ বোনাস।
মেয়র বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার আমরা জন্মহার ৩০ শতাংশ বাড়াতে চাই। তাই আমি ভালোবাসার জন্য এ ভোজের আয়োজন করেছি।’
মেয়রের এ বক্তৃতার পর স্থানীয় একজন শিল্পীর লোকসংগীতের সঙ্গে যুগলদের নাচের আয়োজন করা হয়। ধীরে ধীরে অপরিচয়ের অস্বস্তি কাটিয়ে ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন তাঁরাও। দাঁতের চিকিৎসক পিদ্রাগ জেভেদজিক জানান, তাঁর মতো ভাগ্যবান কেউ কেউ এ নাচের মধ্য দিয়ে খুঁজে পেয়েছেন জীবনসঙ্গীকেও।
ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ২০ বছর ধরে সার্বিয়ার জন্মহার সবচেয়ে কম। প্রধানত অভাব ও ১৯৯০ সালের যুদ্ধই এ জন্য দায়ী। পরিবারের ভরণ-পোষণের মতো একটি চাকরি বা ব্যবসার সুযোগ সেখানে নেই। বিশেষ করে সার্বিয়ার নিস্তরঙ্গ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে। এসব অঞ্চলে প্রেম বা বিয়ে করার মতো উপযুক্ত একজন নারীর অপেক্ষায় বিয়ের বয়স পার হয়ে যায় অধিকাংশ পুরুষেরই।
এমনই একজন কেন্দ্রীয় সার্বিয়ার উপশহর জাগোদিনার বাসিন্দা ৪৬ বছরের স্লাভোলজাব তানাস্কোভিক। তিনি একজন জুতা প্রস্তুতকারক। বহু রকম মনলোভা জুতা বানালেও নিজের বানানো এক জোড়া জুতা পরানোর মতো প্রিয়তমা তাঁর ভাগ্যে আজও জোটেনি। তিনি আক্ষেপ করে জানান, ‘আমি প্রেমে পড়তে চাই, বিয়ে করতে চাই, সন্তানের বাবা হতে চাই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এখানে জীবনযাত্রার মান এত নিচু আর পুরুষদের অধিকাংশই বেকার হওয়ায় লোকজন বিয়েই করে না।’ বিবিসি।
৩৮ বছরের বেশি বয়সী ১৫০ জন নারী ও ১৫০ জন পুরুষকে এই ভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁরা ছিলেন পরস্পরের অপরিচিত। গ্রিক উপকূলে বিনা খরচে এক দিনের ছুটি কাটানোর সুযোগ দেওয়া হয় তাঁদের, যাতে তাঁরা পরস্পর পছন্দের সঙ্গী বেছে নিতে পারেন, যা এনে দিতে পারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সুযোগ। এই ছুটি কাটানোর পুরো ব্যয় বহন করে স্থানীয় পৌরসভা।
স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় এসব নারী-পুরুষের সাক্ষাতের জন্য নৈশভোজের ব্যবস্থা করা হয়। নম্বর দেওয়া নির্দিষ্ট আসনে বসেন অবিবাহিত নারী-পুরুষেরা। নিজ নিজ সঙ্গীকে উপহার দেওয়ার জন্য প্রত্যেক পুরুষকে একটি করে লাল গোলাপ দেওয়া হয়। শুরুতে এসব জুটি কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে ছিল। তাঁদের এ অস্বস্তি কাটাতে মেয়র নিজেই উদ্যোগ নেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কমে যেতে থাকা জনসংখ্যা সমস্যার সঙ্গে লড়ছি।’
এ সমস্যা কাটাতে জুটিদের পরিবার গঠনে উৎসাহ দিয়ে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এসব আশ্বাসের মধ্যে আছে, বিদ্যালয়গামী শিশুদের জন্য বাস এবং বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বরাদ্দ, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও নতুন বাবা-মার জন্য নগদ বোনাস।
মেয়র বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার আমরা জন্মহার ৩০ শতাংশ বাড়াতে চাই। তাই আমি ভালোবাসার জন্য এ ভোজের আয়োজন করেছি।’
মেয়রের এ বক্তৃতার পর স্থানীয় একজন শিল্পীর লোকসংগীতের সঙ্গে যুগলদের নাচের আয়োজন করা হয়। ধীরে ধীরে অপরিচয়ের অস্বস্তি কাটিয়ে ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন তাঁরাও। দাঁতের চিকিৎসক পিদ্রাগ জেভেদজিক জানান, তাঁর মতো ভাগ্যবান কেউ কেউ এ নাচের মধ্য দিয়ে খুঁজে পেয়েছেন জীবনসঙ্গীকেও।
ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ২০ বছর ধরে সার্বিয়ার জন্মহার সবচেয়ে কম। প্রধানত অভাব ও ১৯৯০ সালের যুদ্ধই এ জন্য দায়ী। পরিবারের ভরণ-পোষণের মতো একটি চাকরি বা ব্যবসার সুযোগ সেখানে নেই। বিশেষ করে সার্বিয়ার নিস্তরঙ্গ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে। এসব অঞ্চলে প্রেম বা বিয়ে করার মতো উপযুক্ত একজন নারীর অপেক্ষায় বিয়ের বয়স পার হয়ে যায় অধিকাংশ পুরুষেরই।
এমনই একজন কেন্দ্রীয় সার্বিয়ার উপশহর জাগোদিনার বাসিন্দা ৪৬ বছরের স্লাভোলজাব তানাস্কোভিক। তিনি একজন জুতা প্রস্তুতকারক। বহু রকম মনলোভা জুতা বানালেও নিজের বানানো এক জোড়া জুতা পরানোর মতো প্রিয়তমা তাঁর ভাগ্যে আজও জোটেনি। তিনি আক্ষেপ করে জানান, ‘আমি প্রেমে পড়তে চাই, বিয়ে করতে চাই, সন্তানের বাবা হতে চাই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এখানে জীবনযাত্রার মান এত নিচু আর পুরুষদের অধিকাংশই বেকার হওয়ায় লোকজন বিয়েই করে না।’ বিবিসি।




১১:৫২ AM
মম
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন