রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০১১

 মায়ের গায়ে আগুন!

নেশার টাকা না পেয়ে মাদকাসক্ত এক তরুণ তাঁর মায়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবারের ওই ঘটনায় লোকজন তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে গতকাল শনিবার জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামে। দণ্ড পাওয়া রাশেদ মাহমুদ (২২) অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আলী আজমের ছেলে।
পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে রাশেদ মাদক সেবন করে বাড়িতে যান এবং বাবার কাছে টাকা দাবি করেন। আলী আজম টাকা দিতে অস্বীকার করলে রাশেদ তাঁকে মারপিটের চেষ্টা করেন। ভয়ে আলী আজম চিৎকার শুরু করলে ফাতেমা খাতুন স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। এ সময় রাশেদ তাঁর হাতে থাকা লাইটার দিয়ে মায়ের কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেন। মা-বাবার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নেভায় এবং তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। সন্ধ্যায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে হাজির করা হয়। আদালতের তাঁকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
রাশেদের পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরতেন এবং মা-বাবা ও বোনদের গালাগাল এমনকি মারপিটও করেতেন। বছরখানেক আগে তাঁকে মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে রাশেদ আবারও মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন।
থানায় আটক রাশেদ বলেন, ‘আমি বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে ভালো হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা আমার কোনো কথা শুনেননি।’
মা ফাতেমা খাতুন দাবি করেন, রাশেদের জ্বলন্ত সিগারেট তাঁর কাপড়ে লেগেছিল। আগুন লাগেনি। তবে বাবা আলী আজম বলেন, ‘রাশেদ আমার একমাত্র ছেলে। লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে সে অনেক দিন ধরে মাদকে আসক্ত। ছেলেকে অনেক দিন শাসন করেছি। কিন্তু সে এলাকার কিছু খারাপ ছেলের সঙ্গে মিশে মাদক সেবনসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে নেশার টাকা না পেয়ে রাশেদ তার মায়ের পরনের কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি তাকে গ্রামের লোকজনের সহায়তায় থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি।’
ধুনট থানা পুলিশের পরিদর্শক তোজাম্মেল হক জানান, রাশেদকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে গতকাল জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons