‘যে মায় পেটে ধরছে, খাওয়াইয়া-পরাইয়া মানুষ করছে, সেই মায়রেই মাইরা ফালাইল! পানিতে চুবাইতে একটুও বুক কাঁপল না? আল্লায় অর বিচার করব।’ মাকে হারিয়ে এভাবেই বিলাপ করছিলেন আশুলিয়ার মির্জানগরের চারিগ্রাম এলাকার জোহরা ও সুফিয়া খাতুন। গতকাল মঙ্গলবার ভাই আলাউদ্দিন (২৬) তাঁদের মা জয়তুননেসাকে (৭০) বাড়ির পাশের বিলের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন।
এলাকাবাসী ও আলাউদ্দিনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে আলাউদ্দিন পরিবারের অন্য সদস্যদের ঘরের দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে তাঁর মাকে ধরে নিয়ে যান। ১৫-২০ মিনিট পর তাঁদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুলে দেয়। এর পরপরই খবর আসে, আলাউদ্দিন তাঁর মাকে বিলের পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর লাশ বিলের পাড়ে উঠিয়ে তাঁর পাশে বসে আছেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। একপর্যায়ে এলাকাবাসী আলাউদ্দিনকে মারধর করে।
এ সময় আলাউদ্দিন উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, মা নিয়মিত নামাজ না পড়ায় তিনি তাঁকে হত্যা করেছেন। এলাকাবাসী পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করে। আলাউদ্দিন চার ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে সবার ছোট। তিনি বাড়ির মুরগির খামারে কাজ করতেন। বেলা তিনটার দিকে আলাউদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে বিলাপ করছেন তাঁর বোন জোহরা ও সুফিয়া খাতুন। আলাউদ্দিনের মামা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার বোনকে নির্মমভাবে পানিতে চুবিয়ে মারছে আলাউদ্দিন। এর আগেও কয়েকবার আলাউদ্দিন আমার বোনকে মারধর করেছে। অর মা কখনো অর বিচার করতে দেয় নাই। আজ তারে মাইরাই ফালাইল।’
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাসার বলেন, এ ঘটনায় আলাউদ্দিনের বড় ভাই মো. জসিমউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, আলাউদ্দিন তাঁর মাকে হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। prothom-alo
এলাকাবাসী ও আলাউদ্দিনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে আলাউদ্দিন পরিবারের অন্য সদস্যদের ঘরের দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে তাঁর মাকে ধরে নিয়ে যান। ১৫-২০ মিনিট পর তাঁদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুলে দেয়। এর পরপরই খবর আসে, আলাউদ্দিন তাঁর মাকে বিলের পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর লাশ বিলের পাড়ে উঠিয়ে তাঁর পাশে বসে আছেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। একপর্যায়ে এলাকাবাসী আলাউদ্দিনকে মারধর করে।
এ সময় আলাউদ্দিন উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, মা নিয়মিত নামাজ না পড়ায় তিনি তাঁকে হত্যা করেছেন। এলাকাবাসী পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করে। আলাউদ্দিন চার ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে সবার ছোট। তিনি বাড়ির মুরগির খামারে কাজ করতেন। বেলা তিনটার দিকে আলাউদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে বিলাপ করছেন তাঁর বোন জোহরা ও সুফিয়া খাতুন। আলাউদ্দিনের মামা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার বোনকে নির্মমভাবে পানিতে চুবিয়ে মারছে আলাউদ্দিন। এর আগেও কয়েকবার আলাউদ্দিন আমার বোনকে মারধর করেছে। অর মা কখনো অর বিচার করতে দেয় নাই। আজ তারে মাইরাই ফালাইল।’
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাসার বলেন, এ ঘটনায় আলাউদ্দিনের বড় ভাই মো. জসিমউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, আলাউদ্দিন তাঁর মাকে হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। prothom-alo




৫:৫৮ PM
মম
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন