পটুয়াখালীর গলাচিপায় গরু চুরির অভিযোগ তুলে এবার এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে দুই দফা মারধর করা হয়েছে। উপজেলার রাঙ্গাবালি ইউনিয়নে গত ২১ ও ২২ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে।
ওই গৃহবধূ এখনো গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকি ৎসাধীন রয়েছেন। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম ফাতেমা বেগম (২৬)। তিনি রাঙ্গাবালি ইউনিয়নের পূর্ব বাহেরচর গ্রামের মো. শহীদুল লাহারির স্ত্রী।
নির্যাতন চালানোর অভিযোগে ফাতেমা গতকাল বৃহস্পতিবার রাঙ্গাবালি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গলাচিপা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা বেগম তাঁর ভাই মো. সাইদুল ইসলামের কাছে ৩৫ হাজার টাকা পান। সাইদুল পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাঁর কাছে দুটি গরু বন্ধক রাখেন। ২১ নভেম্বর বিকেল চারটায় ফাতেমা ওই গরু নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।
ওই সময় ছোটবাইশদিয়া ইউপির সদস্য মো. আনিসুজ্জামান চতলাখালী গ্রামের রাস্তায় ফাতেমাকে গরু চুরির অভিযোগে মারধর করেন। ২২ নভেম্বর দুপুরে ফাতেমাকে রাঙ্গাবালি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের কাছে নিয়ে যান।
বিষয়টি নিয়ে বাহেরচর বাজারের চৌরাস্তায় ২২ নভেম্বর সালিস বৈঠক হয়। এতে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, আনিসুজ্জামানসহ ছয়জন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় গরু চুরির অপরাধে নজরুল ইসলাম, আনিসুজ্জামান, জাকির হোসেন এবং একজন গ্রামপুলিশ ফাতেমাকে মারধর করেন।
ফাতেমা অভিযোগ করেন, গরু চুরির সাজানো অভিযোগ এনে গত ২৩ নভেম্বর রাঙ্গাবালি থানায় সুজন দাসকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করানো হয়। পরদিন ওই মামলায় তাঁকে (ফাতেমা) গ্রেপ্তার দেখিয়ে গলাচিপায় আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে জামিন দিলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকি ৎসা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, ফাতেমার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন আছে এবং তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
ফাতেমাকে মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাঙ্গাবালির ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘২২ নভেম্বর বিকেলে আনিসুজ্জামান ফাতেমাকে গরু চুরির অভিযোগে আটক করে আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি তাঁকে রাঙ্গাবালি থানায় সোপর্দ করেছি।’
ইউপি সদস্য আনিসুজ্জামান দাবি করেন, কয়েকজন গ্রামবাসী ফাতেমাকে গরুসহ ধরে তাঁর কাছে নিয়ে আসে। তিনি গরু দুটি তাঁর জিম্মায় রেখে ফাতেমাকে ছেড়ে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাঙ্গাবালি উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ফাতেমা ও তাঁর স্বামীকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। তাঁদের বিরুদ্ধে তিনি কখনো খারাপ কিছু শোনেননি।
ওই গৃহবধূ এখনো গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকি ৎসাধীন রয়েছেন। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম ফাতেমা বেগম (২৬)। তিনি রাঙ্গাবালি ইউনিয়নের পূর্ব বাহেরচর গ্রামের মো. শহীদুল লাহারির স্ত্রী।
নির্যাতন চালানোর অভিযোগে ফাতেমা গতকাল বৃহস্পতিবার রাঙ্গাবালি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গলাচিপা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা বেগম তাঁর ভাই মো. সাইদুল ইসলামের কাছে ৩৫ হাজার টাকা পান। সাইদুল পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাঁর কাছে দুটি গরু বন্ধক রাখেন। ২১ নভেম্বর বিকেল চারটায় ফাতেমা ওই গরু নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।
ওই সময় ছোটবাইশদিয়া ইউপির সদস্য মো. আনিসুজ্জামান চতলাখালী গ্রামের রাস্তায় ফাতেমাকে গরু চুরির অভিযোগে মারধর করেন। ২২ নভেম্বর দুপুরে ফাতেমাকে রাঙ্গাবালি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের কাছে নিয়ে যান।
বিষয়টি নিয়ে বাহেরচর বাজারের চৌরাস্তায় ২২ নভেম্বর সালিস বৈঠক হয়। এতে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, আনিসুজ্জামানসহ ছয়জন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় গরু চুরির অপরাধে নজরুল ইসলাম, আনিসুজ্জামান, জাকির হোসেন এবং একজন গ্রামপুলিশ ফাতেমাকে মারধর করেন।
ফাতেমা অভিযোগ করেন, গরু চুরির সাজানো অভিযোগ এনে গত ২৩ নভেম্বর রাঙ্গাবালি থানায় সুজন দাসকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করানো হয়। পরদিন ওই মামলায় তাঁকে (ফাতেমা) গ্রেপ্তার দেখিয়ে গলাচিপায় আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে জামিন দিলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকি ৎসা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, ফাতেমার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন আছে এবং তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
ফাতেমাকে মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাঙ্গাবালির ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘২২ নভেম্বর বিকেলে আনিসুজ্জামান ফাতেমাকে গরু চুরির অভিযোগে আটক করে আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি তাঁকে রাঙ্গাবালি থানায় সোপর্দ করেছি।’
ইউপি সদস্য আনিসুজ্জামান দাবি করেন, কয়েকজন গ্রামবাসী ফাতেমাকে গরুসহ ধরে তাঁর কাছে নিয়ে আসে। তিনি গরু দুটি তাঁর জিম্মায় রেখে ফাতেমাকে ছেড়ে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাঙ্গাবালি উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ফাতেমা ও তাঁর স্বামীকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। তাঁদের বিরুদ্ধে তিনি কখনো খারাপ কিছু শোনেননি।




১২:২৫ PM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন