
মানবজমিন ডেস্ক: বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদির কপাল বটে! তার অদৃশ্য সম্মোহনী শক্তির কাছে একে একে ধরা দেন বিশ্বের বহুল আলোচিত নারীদের অনেকে। কখনও তাদের সঙ্গে ৬৪ বছর বয়সী এই ‘প্লেবয়’-এর হচ্ছে বচ্সা। আবার এই তারা নিউ ইয়র্কের কোন মিটিমিটি আলোর দামি রেস্তরাঁয়। তাদের মধ্যে চলে অন্তরঙ্গ আলোচনা। এমনই এক নারী রিয়েলিটি টেলিভিশন শো ‘স্টার’-এর ডেবোরা রোজ। যিনি বয়সে রুশদির প্রায় অর্ধেক। তাকে নিয়ে এত কাণ্ড ঘটে যেতে না যেতেই রুশদি এক নাইটক্লাবের মালিকের স্ত্রী জানা সত্ত্বেও প্রস্তাব দিয়ে বসেন আরেক তরুণী মিশেল বারিসকে। এসব নিয়ে এখন পশ্চিমা মিডিয়ায় রসালো আলোচনা। এসব নিয়েই অনলাইন ডেইলি মেইল গতকাল একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, সোশ্যাল লাইফ ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক ডেবোরা রোজ। তিনি দাবি করেন তার বয়স এখন ২০-এর কোটায়। তবে তাকে দেখে মনে হয় এর চেয়ে তিনি ১০ বছর বেশি বয়সী। ফেসবুকের মাধ্যমে তার সঙ্গে সালমান রুশদির জানাশোনা হয় সমপ্রতি। তারপর তারা নিউ ইয়র্কের একটি রেস্তরাঁয় রাতের খাবার খান। সে সব অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিগুলো ডেবোরা তার ফেসবুক একাউন্টে প্রকাশ করে দেন। তাতে ক্যাপশন লিখে দেন। তাতে তিনি লিখেছেন- সালমান রুশদির সঙ্গে গ্রেট সময়। এসব দেখে রেগে যান রুশদি। তিনি পাল্টা জবাব দেন ডেবোরাকে। তাকে ওইসব ছবি প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে তিনি ফেসবুকে বলেন, বলতে কষ্ট হচ্ছে যে- আমাদের সম্পর্ক সবেমাত্র শুরু হয়েছিল। তা আর অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আমি স্বীকার করি তুমি ডাইনামিক, আবেগপ্রবন, ব্যতিক্রমী। হঠাৎ করে তোমার থেকে দূরে সরে যাওয়ায় আমি দুঃখিত। কিন্তু এখানেই তাদের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়নি। তারপরও তারা একে অন্যের টাচে ছিলেন। রুশদির সমালোচনা সত্ত্বেও ডেবোরা যখন আরও ছবি প্রকাশ করে দেন তখন রুশদি তাতে মন্তব্যে লেখেন- তাকে হট দেখাচ্ছে। কিন্তু তার জবাবে ডেবোরা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রুশদির সঙ্গে কোন মেয়ে যখন মেশার চেষ্টা করেন তখন তার নজর থাকে মেয়েদের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর দিকে। তিনি স্মার্ট। কিন্তু শিশুসুলভ। তবে তার আচরণ নোংরা। তিনি কথার মাধ্যমে নির্যাতন করেন। তিনি আমাকে আঘাত করার ভাল পথ জানতেন। তাদের সম্পর্কে চির ধরার দু’দিনের মাথায় রুশদি জড়িয়ে পড়েন এক নাইটক্লাবের মালিকের স্ত্রী মিশেল বারিশের সঙ্গে। অন্যের স্ত্রী জানা সত্ত্বেও তাকে প্রস্তাব করে বসেন। অথচ তার সঙ্গে গত মার্চে তার বেশ বাতচিৎ হয়। তবে এবার তাদের জানাশোনার পর রুশদির প্রস্তাব বারিশ ভেবেচিন্তে দেখছেন। তাই খুব সতর্কতার সঙ্গে নিউ ইয়র্ক পোস্ট ঘোষণা দিয়েছে ‘রুশদি টু ওয়েড’ অর্থাৎ রুশদি বিয়ে করতে যাচ্ছেন। যদিও তার ছেলে জাফর অনলাইন মেইলকে বলেছেন, এটা আংশিক সত্য যে- মিশেল ও আমার পিতার মধ্যে জানাশোনা আছে। মিশেল একবার বিবাহিতা। তবে তারা দু’জন এনগেজড নন। আমার মনে হয় নিউ ইয়র্ক পোস্ট এক ধাপ বাড়িয়ে বলেছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন