
মানবজমিন ডেস্ক: আমরা অনেকেই বাধ্য ছিলাম। ছেলেকর্মীদের থেকে অন্তর্বাস কেনাটা একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি। এমনও অনেক সময় হয়েছে যে, সঠিক অন্তর্বাস কেনা হয়নি। কখনও বড় হয়েছে। কখনওবা ছোট। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। পুরুষ কর্মীর কাছে নিজের চাহিদা স্পষ্ট করে বলাটা ছিল অনেক লজ্জার। কথাগুলো বলছিলেন, সৌদি নারী সামার মোহামেদ। সৌদি আরবে মেয়েদের চাকরি করা নিষেধ ছিল এতোদিন। এমন কি মেয়েদের অন্তর্বাস বিক্রয়ের দোকানে কাজ করাও নিষেধ ছিল। তাই ঝামেলায় পড়তে হতো রক্ষণশীল মেয়েদের। তবে দূর হতে যাচ্ছে তাদের সে বিড়ম্বনা। গত জুনে বাদশাহ আবদুল্লাহ মেয়েদের অন্তর্বাস ও সে রকম পোশাক বিক্রয়ের দোকান থেকে পুরুষ কর্মীদের বাদ দিতে ৬ মাস সময় দেন। একই সঙ্গে আগামী জুলাই থেকে কসমেটিকসের দোকান থেকেও পুরুষ কর্মীদের বাদ দেয়ার আদেশ দেন বাদশাহ। এ কথা বলেছেন, লেবারমন্ত্রী আব্দেল ফাকিহ। এ খবর দিয়েছে টেলিগ্রাফ। সৌদি আরবে অন্তর্বাস বিক্রয়ের ৭৩০০ দোকান রয়েছে। বাদশাহর ওই নির্দেশের ফলে সেখানে কমপক্ষে ৪০ হাজার সৌদি নারীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের মূল প্রস্তাব ছিল মেয়েদের কাজের সুযোগ দেয়া। তবে সৌদি ধর্মীয় নেতারা তার বিরোধিতা করায় সেখানে এই আইন পাস হয়নি। এখন বিকল্পভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেলো নারীরা। অনেক বছর ধরে পুরুষের কাছ থেকে যেসব নারী অন্তর্বাস কিনতে অনীহা ছিল তারা ফেসবুকে একটি পেজ খুলে ‘এনাফ ইমব্যারাসমেন্ট’ নামে। এতে তারা অসুবিধার কথা তুলে ধরে প্রচারণা চালায়। এ ঘোষণা আসার পর তারা ওই পেজে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। এ উদ্যোগের মূল ব্যক্তি ফাতেমা ঘারুব বলেন, সাময়িক অস্বস্তি হলেও ব্যবসায়ীরা একে এখন ইতিবাচকভাবে দেখবেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন