পাওলিন পর্টার। বয়স ৪৭ বছর। সবাই আদর করে ডাকে পাওলি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোর বাসিন্দা পাওলিন পর্টার ওজনে ৩১৭ কিলোগ্রাম। প্রায় ৮ মণ। সমপ্রতি গিনেস বুকে নাম তুলেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ওজনের নারী হিসেবে। ২০১২ সালের গিনেস বুকের নতুন সংস্করণে সগর্বে চলে আসছে তার নাম।
হালের টালিউড সেনসেশন পাওলি দামের সঙ্গে কম-বেশি সবাই পরিচিত। নিজের অভিনয় ও আবেদনময়ী শরীরী উত্তাপ দিয়ে এর মধ্যে জয় করে নিয়েছেন ভক্তদের হৃদয়। তার অভিনয় দক্ষতা ও শরীরী উত্তাপের কথা ছড়িয়ে গেছে বলিউড পর্যন্ত। এবার যে পাওলির কথা জানাব তার সঙ্গে টালিউডের পাওলির কোনো মিল নেই। তিনি এক অন্য পাওলি। শুধু নাম ছাড়া পাওলি দামের সঙ্গে আর কিছুই মিলবে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই নারী সমপ্রতি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম তুলেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ওজনের নারী হিসেবে। ২০১২ সালের নতুন সংস্করণে সগর্বে চলে আসছে তার নাম। আসল নাম পাওলিন পর্টার। বিশাল ওজনের শরীর নিয়ে পাওলিনের সমস্যাও অনেক। একার চেষ্টায় তিনি গোসল করতে পারেন না। যেতে পারেন না শপিংমলে। সব কাজেই সহায়তা নিতে হয় একমাত্র ছেলে ডিলানের। ১৭ বছরের ছেলে ডিলান তার মাকে বিছানা থেকে তুলে চেয়ারে বসায়। এরপর মোটর হুইল চেয়ারে বসিয়ে মাকে বাইরে নিয়ে যায়। পাওলির এই একমাত্র ছেলেই দিন-রাত ট্রলিতে খাবার সাজিয়ে দেয়। দিনের শুরুতে ব্রেকফাস্টে পাওলির লাগে এক ডজন ডিম, দুই কেজি মাংসের চপ, চার টুকরা আলু দিয়ে তৈরি হ্যাশ ব্রাউন, বড় ১০ টুকরা মাখন-পাউরুটি, আধা লিটার আইসক্রিম আর লিটারখানেক মিল্ক শেক। এই তো গেল সকালের নাশতা। খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পাওলি বলেন, ব্রেকফাস্টে এ আর তেমনকি! পরিমাণটা যা একটু বেশি। সাধারণ মার্কিন পরিবারে ১০ জন এটা দিয়ে ব্রেকফাস্ট করতে পারেন, এই যা। এরপর রয়েছে দুপুরের খাবার। কিন্তু দুপুরের খাবার সম্পর্কে ধারণা দিতে নারাজ তিনি। তার মতে, অন্য কেউ এ গোপন ফর্মুলা পেলে খুব শিগগিরই তার বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারেন। তবে রাতের খাবারের কথা তিনি নিজেই অকোপটে স্বীকার করেন। তিনি জানান, রাতে আটটি পিত্জা, বড় এক বাটি পেস্তা বাদাম আর এক কেজি মাংস খান। অতিরিক্ত ওজনের কারণেই স্বামী অ্যালেক্সের সঙ্গে সমপ্রতি বিচ্ছেদ ঘটেছে তার। পাওলিনের একটা বিষয়ে আক্ষেপ রয়ে গেছে। কারণ ওজন বাড়িয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে উঠতে চেয়েছিলেন অ্যালেক্সের অনুরোধে। অথচ তিনিই কিনা পাওলিনকে ত্যাগ করলেন।
বিয়ের সময় অ্যালেক্সের ওজন ছিল ৭০ কিলোগ্রামের কিছু কম। আর পাওলিন ছিলেন ২৭৩ কিলোগ্রামের। পরে বিশালাকার ভুঁড়ির জন্যই অ্যালেক্সের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে। কিন্তু তাদের ছেলে ডিলন অবশ্য কোনো অবস্থায়ই মাকে ছাড়তে নারাজ। সে মায়ের সঙ্গেই রয়ে গেছে। একদিকে কলেজের পড়াশোনা, তার মধ্যে মায়ের স্বাস্থ্যরক্ষা��"এ নিয়ে দারুণ চিন্তিত ১৭ বছরের ডিলান। পাওলিনের রেকর্ড ভাঙবে বলে সমপ্রতি অ্যারিজোনা রাজ্যের সুজান ইমেন নামে ৩২ বছরের এক তরুণী উঠে পড়ে লেগেছেন। দিনে ২০ হাজার ক্যালোরিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শুরু করেছেন তিনি। তবে তাতে আদৌ চিন্তিত নন পাওলিন। তিনি এখন ওজন কমিয়ে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। রেকর্ড হয়ে যাওয়ায় ওজন বাড়ানো নিয়ে আর পাওলিনের আগ্রহ নেই।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন