সোমবার, ২০ জুন, ২০১১

পুকুরপাড়ের রহিমারা



undefined
ভৈরব পৌর শহরের রেলওয়ে স্টেশনলাগোয়া পুকুরপাড়
ছবি: প্রথম আলো
তিনি কখনো ঢাকায় যাননি। কোনো মামলার আসামিও ছিলেন না। অথচ ২০০৭ সালের ২০ জুলাই ঢাকার মতিঝিল থানার পুলিশের করা মাদক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাত মাস কারাভোগের পর একটি মানবাধিকার সংস্থার সহায়তায় কিশোরগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান। তাঁর নাম রহিমা বেগম। কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের ভৈরবপুর এলাকার একটি পাটকলের শ্রমিক ছিলেন তিনি।
এই রহিমা আসলে মাদক ব্যবসায়ীদের কৌশল আর প্রতারণার শিকার। ভৈরব পৌর শহরের মাদকপল্লি হিসেবে পরিচিত পঞ্চবটীর পুকুরপাড়ে থাকতেন তিনি। এই পুকুরপাড়ে থাকেন রহিমা নামের একাধিক মাদক ব্যবসায়ী। তাঁদেরই একজন রহিমা বেগম মতিঝিল থানার পুলিশের হাতে মাদকসহ ধরা পড়েন। পরে জামিনে মুক্তি নিয়ে তিনি আর আদালতে হাজিরা দেননি। আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশ ঠিকানা ধরে যাঁকে গ্রেপ্তার করে, তিনি পাটকলশ্রমিক রহিমা। কারণ মাদক ব্যবসায়ী রহিমা পুলিশকে এই রহিমার ঠিকানা দিয়েছিলেন গ্রেপ্তারের পর এবং মামলার কাগজপত্রে তা-ই স্থান পেয়েছে।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে অন্তত চারজন মাদক ব্যবসায়ী রহিমার খোঁজ মিলেছে, যাঁদের সবার ঠিকানা এই পুকুরপাড়। তবে ভৈরবের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আক্তারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, রহিমা নামের ভৈরবে অন্তত এক ডজন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন। ধরা পড়ার পর তাঁরা অন্য রহিমার ঠিকানা ব্যবহার করে থাকেন। নিজেকে নিরপরাধ দাবি করে অন্য রহিমার ওপর দোষ চাপান। তাঁদের প্রত্যেকে একাধিক বিয়ে করেছেন। তাঁদের সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়েও হ-য-ব-র-ল অবস্থায় পড়তে হয়।
গত সপ্তাহে পঞ্চবটীর পুকুরপাড়ে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে চারজন রহিমার অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন চয়ন মিয়ার স্ত্রী রহিমা ওরফে রুহি, ধন মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম (৪০), ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৬) এবং আবু বক্করের স্ত্রী রহিমা আক্তার (৩৮)। তাঁরা সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গ জড়িত। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলা আছে বলে স্থানীয় থানার সূত্র জানায়।
রহিমা ওরফে রুহি: পুকুরপাড়ের লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চারজনের মধ্যে রহিমা ওরফে রুহির (৩৫) পরিচিতি ব্যাপক। ভৈরব থানা পুলিশের হাতে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছেন।
রহিমা ওরফে রুহি চারটি বিয়ে করেছেন। তাঁর সর্বশেষ স্বামীর নাম চয়ন মিয়া (৩২)। চয়ন মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায়। ভৈরবে ফেনসিডিল সেবন করতে এসে রহিমার সঙ্গে তাঁর পরিচয়। চার মাস আগে এই ক্রেতা-বিক্রেতা বিয়ে করেন।
এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে রহিমা বলেন, ‘আমার পৈতৃকবাড়ি ভৈরবের পুকুরপাড়ে। বাবা কফিল উদ্দিন মুদি দোকানি ছিলেন। ১৫ বছর আগে তিনি মারা যান। ছয়জনের সংসার ছিল। আমি সবার ছোট। অভাবের সংসার। কষ্ট লাগত। পুকুরপাড়ে থেকে সহজে যে ব্যবসা করা যায়, তা হলো মাদক। সেই ১৫ বছর আগে জড়িয়ে গেলাম। লাভ খারাপ না। এক বোতল ফেনসিডিল থেকে কয়েক বোতল করা যায়। ১০০ টাকার ফেনসিডিল কখনো ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। কিন্তু লাভ ঘরে নিয়ে যাওয়া যায় না। পুলিশ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও সমাজপতিদের ভাগ দিয়ে বেশি কিছু থাকে না। কয়েকবার ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আগের তিন স্বামী ছেড়ে যাওয়ার কারণে তাঁদের ঘরের সন্তানদের নিয়ে বারবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে। নিরুপায় হয়ে আবার ব্যবসায় ফিরেছি। সর্বশেষ ফেনসিডিল বিক্রি করতে গিয়ে চয়নের সঙ্গে প্রেম হয়। আমি ব্যবসা ছেড়ে দেব আর চয়ন মাদক খাওয়া ছাড়বে—এমন শর্তে রাজি হয়ে আমরা বিয়ে করি। এখন আর এই ব্যবসা করছি না।’
রহিমা ওরফে রুহি আরও বলেন, ভৈরবে রহিমা নামের অনেকে মাদক ব্যবসা করেন। এতে যেমন অসুবিধা, তেমনি সুবিধাও আছে।
ভৈরবে নারী মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে রহিমা নামের আধিক্য কেন—জানতে চাইলে রহিমা ওরফে রুহি বলেন, ‘পুকুরপাড়ের রহিমাদের নাম নকল না। বাবা-মায়ের দেওয়া নাম নিয়েই আমরা আছি। যেহেতু পুকুরপাড়ের কয়েকজন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাই ভৈরবের বাইরে কোনো মহিলা পুলিশের হাতে ধরা পড়লে নিজের নাম না বলে পুকুরপাড়ের রহিমাদের কারও নাম বলে দেয়। পরে সে জামিন নিয়ে সটকে পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ এসে আমাদের ধরে নিয়ে যায়।’
তবে ভৈরব থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ভৈরবের কোনো মাদক ব্যবসায়ী সহজে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেয় না। রহিমা ওরফে রুহিও ছাড়েনি। কয়েক দিন আগেও রুহি আমার হাতে মাদকসহ ধরা পড়েছিল।
রহিমা বেগম: ধন মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম ৩ জুন র‌্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনিও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। থানা সূত্র জানায়, তিনি ২০০৭ সালে মাদক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন। কারাগারে তাঁর একটি কন্যাসন্তান হয়। পহেলা বৈশাখে হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষ শিশুটির নাম রাখে বৈশাখী। বৈশাখীর বয়স এখন চার বছর।
গুলিবিদ্ধ রহিমার স্বামী ধন মিয়ার ভাইয়ের মেয়ে মনোয়ারা বেগম (৩০), বোনের মেয়ে সেলিনা বেগম (৩২), প্রতিবেশী নুরু মিয়ার ছেলে আজিজ মিয়া (৪০) এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রহিমা বেগম একবার ফেনসিডিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ধরা পড়েছিলেন। ওই মামলায়ই তিনি কারাগারে যান।
রহিমা বেগমের স্বামী ধন মিয়া স্বীকার করেন, তাঁর স্ত্রী একসময় মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। এখন করছেন না। ব্যবসা ছেড়ে দিলেও অন্য রহিমাদের খুঁজতে এসে পুলিশ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করে। তিনি বলেন, ‘অনেক কষ্টে বোঝাতে হয়, এই রহিমা সেই রহিমা নয়।’
প্রতিবেশীরা জানান, স্বামীসহ আটজনের সংসার রহিমা বেগমের। স্বামী ধন মিয়া আগে রিকশা চালাতেন। কয়েক বছর আগে যক্ষ্মা ধরা পড়ে। এরপর থেকে কাজ করতে পারেন না। এ অবস্থায় মাঝেমধ্যে মাদক ব্যবসা করতেন রহিমা। তাঁদের দাবি, রহিমা বেগম এখন আর মাদক ব্যবসা করেন না।
রহিমা আক্তার: পুলিশকে সব সময় বিপাকে পড়তে হয়েছে রহিমা আক্তারকে (৩৮) নিয়ে। তাঁকে ধরামাত্র পুলিশের উদ্দেশে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। গলাটিপে নিজের সন্তান মেরে পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করার ও যৌন হয়রানির অভিযোগ আনার হুমকি দেন তিনি।
ভৈরব থানা সূত্র জানায়, ২০০৭ সালে পুলিশ অনেক কষ্টে রহিমা আক্তারকে ধরে আনে। থানাহাজতে ঢোকানোর পর কয়েকজন পুলিশের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। ছেড়ে না দেওয়ায় হাজতের দেয়ালের সঙ্গে মাথা ঠুকে মাথা ফাটিয়ে ফেলেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় হাজতে মলত্যাগের মতো ঘটনা ঘটান। তখন পুলিশের ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়।
থানা সূত্র জানায়, রহিমা আক্তার পুকুরপাড় ছেড়ে কিছু দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বসবাস করছেন।
রহিমা বেগম: ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগমের (৩৬) সঙ্গে কথা বলতে পুকুরপাড়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মতিঝিল থানার মামলায় এই রহিমা বেগমই পাটকলশ্রমিক রহিমার ঠিকানা ব্যবহার করে তাঁকে বিপদে ফেলেছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, ৩ জুন র‌্যাবের অভিযানে ধন মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সব মাদক ব্যবসায়ীরা পুকুরপাড় ছেড়েছে। ফলে সেখানে মাদক বেচাকেনা আপাতত বন্ধ।
বিপত্তি ও কৌশল: পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুকুরপাড়ে রহিমা এখন বিপত্তি ও কৌশলের নাম। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর এই মাদক ব্যবসায়ীরা স্বামীর নাম পাল্টে বলেন। যাঁদের একাধিক স্বামী আছে, তাঁরা একেক সময় একেক স্বামীর নাম ব্যবহার করেন। এটা তাঁদের আইনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির কৌশল। আর পুলিশের জন্য বিপত্তির। পুকুরপাড়ে গিয়ে তাই এদের ঠিকানা শনাক্ত করতে হিমশিম খায় পুলিশ। আবার এতে পাটকলশ্রমিক রহিমার মতো নিরপরাধ নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
ভৈরব থানা: ভৈরব থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, শুধু পুকুরপাড় নয়, ভৈরবের মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করেন। ঠিকানা অনুযায়ী গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই বাড়িতে থাকেন না, থাকেন অন্যজন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান কবির বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশলী হয়। শুধু নাম কেন, কোনো কিছুই তাদের কাছ থেকে সঠিকভাবে পাওয়া যায় না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের ভূমিকা: রহিমাদের এ গল্প পড়লে মনে হতে পারে, ভৈরবের পুলিশ বুঝি কত অসহায়! কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন ভিন্ন কথা। ভৈরব উপজেলা মাদকবিরোধী সামাজিক কমিটির সভাপতি ফখরুল আলম বলেন, ‘একসময় মনে হতো, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা গেলে মাদক নির্মূল করা যাবে। পরে দেখলাম সমস্যা অনেক। কারণ, এর সঙ্গে আমাদের পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন জড়িত। সুবিধা নিচ্ছে সমাজের কিছু প্রভাবশালী লোকও। খেয়াল করে দেখবেন, ভৈরব থেকে পুলিশ সদস্যরা বদলি হতে চান না। এর মূল কারণ, মাদকের বিরাট অঙ্কের মাসোহারা।’
৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাদকবিরোধী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাদল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুকুরপাড় আর পঞ্চবটীর মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলা মানে নিজের ইজ্জতের ওপর হুমকি ডেকে আনা। এক বছর আগে এক নারী মাদক ব্যবসায়ী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলা ঠুকে দেয়। পুলিশ জানে, আমরা মাদকবিরোধী আন্দোলন করি। তার পরও তারা মিথ্যা মামলাটি নেয়। অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয় ওই মামলায়।’
বাদল মিয়া আরও বলেন, ‘আমাদের মাদকবিরোধী ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি মমতাজ উদ্দিনও একজন মাদক ব্যবসায়ীর করা নারী নির্যাতন মামলার আসামির অপবাদ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এখানকার মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকার ভোট নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁদের মন না জুগিয়ে কারও পক্ষে জনপ্রতিনিধি হওয়াও কঠিন।’
এসব বিষয় প্রশাসনেরও জানা ছিল। তাই ২০০৫ সালের দিকে ইউএনওকে সভাপতি আর থানার ওসিকে সদস্য-সচিব করে সাত সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছিল। সেলের অন্যতম দায়িত্ব ছিল, সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা যেন কোনোভাবেই মাদক ব্যবসায়ীদের হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার না হন। শুরুতে মনিটরিং সেল বেশ সক্রিয় ছিল। পরে নানা চাপে মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলন ঝিমিয়ে পড়লে এ সেলও ঝিমিয়ে পড়ে।’
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান কবির বলেন, মাদক বিষয়ে পুলিশ খুব সতর্ক। র‌্যাব-পুলিশের ঘন ঘন অভিযানের কারণে এখন মাদক ব্যবসায়ীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তবে তারা খুবই সংঘবদ্ধ ও চতুর। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের আটকানো কঠিন হয়ে পড়ে।
পুকুরপাড়ের যাত্রা: স্বাধীনতার কয়েক বছর আগে মগল মিয়া নামের এক ব্যক্তি ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনসংলগ্ন পতিত জমিতে ঘর বাঁধেন। অল্প সময়ের মধ্যে মন্নাফ মিয়া, গফুর মিয়া ও উমর আলী নামের আরও তিন ব্যক্তি প্রতিবেশী হন মগল মিয়ার। তখন স্থানটি সড়ক ও বিদ্যুৎবিহীন ছিল। ক্রমে বসতির সংখ্যা বাড়ে। রেলওয়ের এই জমিতে একটি পুকুরও আছে। এ কারণে এলাকাটি পুকুরপাড় নামে পরিচিতি পায়।
এই পুকুরপাড় এখন প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারের কাছে মাদকপল্লি হিসেবে পরিচিত। এখান থেকেই ভৈরবের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হয়। বর্তমানে পুকুরপাড়সংলগ্ন রেলওয়ের জায়গা দখল করে বা ইজারা এনে বস্তি গড়ে তুলেছেন স্থানীয় সমাজপতিরা। এসব বস্তি ভ্রাম্যমাণ মাদক ব্যবসায়ীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে।
ভৈরব পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পুকুরপাড়ের অবস্থান। ২০০ গজের মধ্যে রেলওয়ে স্টেশন। পুকুরপাড়ে এখন পরিবারের সংখ্যা প্রায় ১৫০। মূলত, ১৯৯১ সালে কিছু মাদক ব্যবসায়ী এখানে আস্তানা গড়ে তোলেন।
সুমন মোল্লা, ভৈরব, প্রথম আলো

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons