সোমবার, ১৩ জুন, ২০১১

দিল্লির একজন স্বামী বিমানন্দ এবং তার নারী ব্যবসা


আসল নাম রাজীব রঞ্জন দিবেদী। কিন্তু ভারত জুড়েই তিনি স্বামী বিমানন্দ নামেই পরিচিত। ১৯৯৮ সালে একবার যৌন ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে জেলে যান। জেল থেকে বেড়িয়ে একজন আত্মোৎসর্গকারী সাধু হিসেবে তিনি দক্ষিণ দিল্লির জওহর পার্কে সাঁই বাবা মন্দির নির্মাণ করেন। এ মন্দিরে প্রায় ১ লাখ সাধু ধর্মের জন্য আত্ম নিবেদন করছে। একজন পরকল্যাণকামী সাধু হিসেবে ভারত জুড়েই ছিল তার সুনাম। কিন্তু হঠাৎ করেই ঘটে গেলো অঘটন।
মুখোশ উন্মোচিত হলো এ বহুরূপী সাধুর। জানা গেলো, পরোপকারী এ সাধু বাবা ভারত জুড়ে পরিচালনা করছেন নারী ব্যবসা। তবে যেই সেই নারী নয়। অত্যন্ত দু®প্রাপ্য এবং নজরকাড়া সব সুন্দরী যুবতী নিয়েই তার কারবার। গোটা ভারতের ১২টি রাজ্যে তিনি গড়ে তুলেছেন অত্যন্ত দুর্ভেদ্য এবং গোপন সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেট নিজেদের মধ্যে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে পরিচালনা করতো সুন্দরী নারী যোগান দেয়ার ব্যবসা। সমাজের উচ্চবিত্তরাই তার খরিদ্দার। তাদের তুষ্ট করার জন্য তিনি যোগান দিতেন সব বয়সী এবং সব ধরণের কিশোরী থেকে নারী।
তার পরিচালিত এ ব্যবসায় গোপনীয়তার শতভাগ গ্যারান্টি ছিল। আর তাই তারা খদ্দেরদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো। তার খদ্দেররাও ছিল যথেষ্ট বিত্তশালী। প্রতি দু’ঘণ্টার জন্য তিনি খদ্দেরদের কাছে তাদের চাহিদা মাফিক নারী পৌঁছে দিয়ে যে পারিশ্রমিক নিতেন তা জানলে অনেকেরই চোখ কপালে উঠতে পারে। তা ঠিক এরকমÑ যুবতী মডেলদের জন্য প্রতি দু’ঘণ্টায় ৫০ হাজার রুপি। এয়ার হোস্টেসের জন্য ৪০ হাজার রুপি। ২০ থেকে ৩০ হাজার রুপি নিতেন ছাত্রীদের জন্য। গৃহবধূদের জন্য নিতেন ১০ থেকে ১৫ হাজার রুপি। ১২টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অত্যন্ত গোপন এ চক্র পরিচালিত হতো। তার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৫০০ যৌনকর্মী। দিল্লি থেকে ফোনের মাধ্যমে তিনি কলকাতা, ব্যাঙ্গালোর, চণ্ডিগড়, শিমলা ও মুম্বাইয়ে নারী পাঠাতেন। তার অধীনে সরাসরি কাজ করতো ৫০ থেকে ৬০ যৌনকর্মী। ২৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় যে কিছু যৌনকর্মী দিল্লির একটি অভিজাত এলাকায় উপযুক্ত খদ্দের খুঁজছে। এ সংবাদের উপর ভিত্তি করে পুলিশ ৬ যৌনকর্মীসহ সাধু বাবা স্বামী বিমানন্দকে আটক করে। পরে তার কাছ থেকে ৬টি লাল ডায়েরি আটক করা হয়। এর মধ্যে ৩টি তার মন্দির পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত হয়। বাকি ৩টির ব্যবহার অবৈধ যৌন ব্যবসার কাজে। তবে হাতে নাতে ধরা পড়লেও সাঁই বাবা অবিচল। তিনি তার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons