শনিবার, ২ জুলাই, ২০১১

ভালোবাসাই কাল হলো


রাজগোখরার সঙ্গে লিউক ইয়োম্যান্স
গোখরাজাতীয় সাপের মধ্যে বিশ্বে সবচেয়ে দীর্ঘ ও বিষাক্ত সাপ হচ্ছে রাজগোখরা। এর একটি ছোবলে ২০ জন মানুষ বা একটি হাতির মৃত্যু হতে পারে। এর পরও রাজগোখরার প্রতি ভালোবাসার অন্ত ছিল না লিউক ইয়োম্যান্সের। ভালোবাসার টানেই যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যামশায়ারের ইস্টউড শহরে নিজ বাড়ির পেছনে তিনি গড়ে তুলেছিলেন এই ভয়ংকর সাপের অভয়ারণ্য। তবে এই ভালোবাসাই কাল হলো তাঁর জীবনে। একটি রাজগোখরাকে চুমু খেতে গিয়ে ওই সাপের ছোবলে মাত্র ছয় মিনিটে প্রাণ হারিয়েছেন ইয়োম্যান্স। গত বুধবার এ ঘটনা ঘটে। 
ইয়োম্যান্স বিশ্বাসই করতেন না যে তিনি কোনো দিন সাপের দংশনে মারা যাবেন। মৃত্যুর দুই সপ্তাহ আগে বিবিসি রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘এসব সাপ জানে, আমি ওদের ভালোবাসি। ওরা জানে, আমি ওদের খাবার দিই, পানি দিই। আক্রান্ত না হলে আক্রমণ করা ওদের স্বভাবে নেই। স্বভাবের বাইরে গিয়ে ওরা কখনোই আমার ক্ষতি করবে না। কারণ, আমি ওদের ক্ষতি করি না।’ 
ইয়োম্যান্সের এই মৃত্যুতে মর্মাহত তাঁর প্রতিবেশীরা। একজন প্রতিবেশী বলেন, ‘তাঁর এ মৃত্যু সত্যিই দুঃখজনক। আমরা সবাই জানতাম, তিনি গোখরা পোষেন। কিন্তু তিনি এ ক্ষেত্রে এত অভিজ্ঞ ছিলেন যে, এ রকম কিছু ঘটতে পারে তা আমরা ধারণাই করতে পারিনি। সাপের মঙ্গলের জন্যই জীবনভর খেটে গেলেন।’ 
নিজ বাড়ির পেছনে ২০০৮ সালে অভয়ারণ্যটি গড়ে তোলেন ইয়োম্যান্স। তাঁর দাবি ছিল, এটিই রাজগোখরার জন্য একমাত্র অভয়ারণ্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারতীয় বনাঞ্চলে সাধারণত এ রাজগোখরার বাস। ইয়োম্যান্সের আশঙ্কা ছিল, যেভাবে বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে কিংবা মানুষের হাতে মারা পড়ছে সাপসহ নানা বন্য প্রাণী, এতে অচিরেই এ রাজগোখরাও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই এ প্রাণীটিকে টিকিয়ে রাখতে তিনি গড়ে তুলেছিলেন অভয়ারণ্যটি। ডেইলি মেইল।
PROTHOM-ALO

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons