বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট বায়ুচাপের কারণে ঝোড়ো আবহাওয়ায় সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রয় নেওয়া ৩০০ মাছ ধরার ট্রলারে বনরক্ষীরা চাঁদাবাজি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী জেলেরা গত রোববার বরগুনার পাথরঘাটায় ফিরে এসে সংবাদকর্মীদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
চাঁদাবাজির শিকার পিরোজপুরের নির্মল চন্দ্রের মালিকানাধীন এফবি স্বাধীন ট্রলারের মাঝি গোলাম মোস্তফা জানান, গত ২৫ জুন রাতে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়লে তাঁরা সুন্দরবনের দুবলারচর স্টেশনের আওতায় ভেদারখালে আশ্রয় নেন। এ সময় দুবলা ফরেস্ট অফিসের মিজান নামের এক বনরক্ষীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বনপ্রহরী এসে ট্রলারপ্রতি এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। প্রথমে জেলেরা চাঁদা দিতে না চাইলে তাঁদের অবৈধভাবে বনে প্রবেশের অপরাধে মামলা ও আটক করার ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে মামলার ভয়ে তাঁরা এ অর্থ দেন। তিনি জানান, সেখানে প্রায় ৩০০ ট্রলার আশ্রয় নিয়েছিল।
সুন্দরবনের রপ্তানিকারক মৎস্য প্রতিষ্ঠান দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন ফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গতকাল সোমবার বলেন, শুধু ঝড়-বাদল নয়, কোনো ট্রলার বা নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে সুন্দরবনে আশ্রয় নিলেও বনরক্ষীদের চাঁদা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না।
জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মান্নান মাঝি জানান, প্রতিবছরই ইলিশ মৌসুমে পাস-পারমিটের অজুহাতে বনপ্রহরীরা জেলেদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন।
জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা গতকাল বলেন, ওই দিন এফবি আলী, এফবি ফারজানা, এফবি জলিল, এফবি জাহানারা, এফবি মায়ের দোয়াসহ অন্তত অর্ধশত ট্রলার চাঁদা দিতে বাধ্য হয়েছে বলে তাঁকে মুঠোফোনে জানানো হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে দুবলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনিল কুমার সাহা বলেন, ‘ঘটনার দিন স্টেশনে ছিলাম না। তবে এমন অভিযোগ শুনেছি।’
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মংলা স্টেশনের স্টেশন কমান্ডার লে. বদরুদ্দোজা জানান, জেলেদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কান্তি দো গতকাল বলেন, ‘সুন্দরবন এলাকায় মাছ ধরার জন্য জেলেদের পাস-পারমিট নিতে হয়; কিন্তু বেশির ভাগ জেলে তা নেয় না। আমাদের জনবল ও যান-সংকটের কারণে তাদের ধরতেও পারি না। ওই দিন ঝড়ের কবলে পড়ে তারা সুন্দরবনে আশ্রয় নিয়েছিল। তখন যাদের পাস-পারমিট নেই, তাদের কাছ থেকে সরকারি রাজস্ব বাবদ অর্থ আদায় করা হয়েছে।’ চাঁদাবাজির অভিযোগকে তিনি ভিত্তিহীন প্রচারণা বলে মন্তব্য করেন।
চাঁদাবাজির শিকার পিরোজপুরের নির্মল চন্দ্রের মালিকানাধীন এফবি স্বাধীন ট্রলারের মাঝি গোলাম মোস্তফা জানান, গত ২৫ জুন রাতে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়লে তাঁরা সুন্দরবনের দুবলারচর স্টেশনের আওতায় ভেদারখালে আশ্রয় নেন। এ সময় দুবলা ফরেস্ট অফিসের মিজান নামের এক বনরক্ষীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বনপ্রহরী এসে ট্রলারপ্রতি এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। প্রথমে জেলেরা চাঁদা দিতে না চাইলে তাঁদের অবৈধভাবে বনে প্রবেশের অপরাধে মামলা ও আটক করার ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে মামলার ভয়ে তাঁরা এ অর্থ দেন। তিনি জানান, সেখানে প্রায় ৩০০ ট্রলার আশ্রয় নিয়েছিল।
সুন্দরবনের রপ্তানিকারক মৎস্য প্রতিষ্ঠান দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন ফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গতকাল সোমবার বলেন, শুধু ঝড়-বাদল নয়, কোনো ট্রলার বা নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে সুন্দরবনে আশ্রয় নিলেও বনরক্ষীদের চাঁদা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না।
জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মান্নান মাঝি জানান, প্রতিবছরই ইলিশ মৌসুমে পাস-পারমিটের অজুহাতে বনপ্রহরীরা জেলেদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন।
জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা গতকাল বলেন, ওই দিন এফবি আলী, এফবি ফারজানা, এফবি জলিল, এফবি জাহানারা, এফবি মায়ের দোয়াসহ অন্তত অর্ধশত ট্রলার চাঁদা দিতে বাধ্য হয়েছে বলে তাঁকে মুঠোফোনে জানানো হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে দুবলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনিল কুমার সাহা বলেন, ‘ঘটনার দিন স্টেশনে ছিলাম না। তবে এমন অভিযোগ শুনেছি।’
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মংলা স্টেশনের স্টেশন কমান্ডার লে. বদরুদ্দোজা জানান, জেলেদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কান্তি দো গতকাল বলেন, ‘সুন্দরবন এলাকায় মাছ ধরার জন্য জেলেদের পাস-পারমিট নিতে হয়; কিন্তু বেশির ভাগ জেলে তা নেয় না। আমাদের জনবল ও যান-সংকটের কারণে তাদের ধরতেও পারি না। ওই দিন ঝড়ের কবলে পড়ে তারা সুন্দরবনে আশ্রয় নিয়েছিল। তখন যাদের পাস-পারমিট নেই, তাদের কাছ থেকে সরকারি রাজস্ব বাবদ অর্থ আদায় করা হয়েছে।’ চাঁদাবাজির অভিযোগকে তিনি ভিত্তিহীন প্রচারণা বলে মন্তব্য করেন।




২:০২ PM
মম
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন