মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০১১

পুত্রসন্তান না হওয়ায়..

প্রথম সন্তান ছেলে না হওয়ায় অসন্তুষ্ট। ছেলের আশায় নিলেন দ্বিতীয় সন্তান। সেটিও মেয়ে। আশা পূরণ না হওয়ায় ৩৩ দিন বয়সী শিশুকন্যাকে ডোবায় ফেলে হত্যা করেছেন এক মা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার কেয়ামুল্লাহ গুচ্ছগ্রামে। পুলিশ শিশুটির মা কনক বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে। তিনি সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
এলাকাবাসীর বিবরণ অনুযায়ী, উপজেলার কেয়ামুল্লাহ গুচ্ছগ্রামের খলিলুর রহমানের (৫০) স্ত্রী কনক বেগম শনিবার রাত ১০টার দিকে তাঁর ৩৩ দিন বয়সী শিশুকন্যাকে গোপনে বাড়িসংলগ্ন একটি ডোবায় ফেলে দেন। পরে তিনি বাচ্চা চুরি হয়েছে বলে ডাকচিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তারা রাত ১১টার দিকে ডোবায় শিশুটির লাশ দেখতে পায়। এ সময় মেয়ের লাশ দেখে কনক বেগম বারবার মূর্ছা যান।
খবর পেয়ে তজুমদ্দিন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহীম খান ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর তথ্যের ভিত্তিতে কনক বেগমকে আটক করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কনক বেগম তাঁর শিশুসন্তানকে ডোবায় ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে গত রাতে মুঠোফোনে কনক বেগমের স্বামী ইঞ্জিনমিস্ত্রি খলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর আদি বাড়ি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায়। তিনি চারটি বিয়ে করেছেন। তিনি প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে লৌহজংয়ে থাকেন। সেই ঘরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। ২০ বছর আগে তিনি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মির্জাকালু গ্রামের কনক বেগমকে বিয়ে করেন। এই ঘরের বড় মেয়ে লাকির বিয়ে হয়েছে চট্টগ্রামে।
খলিলুর রহমান বলেন, ছেলেসন্তানের আশায় অনেক বিলম্বে কনক বেগম দ্বিতীয় সন্তান নিয়েছেন। কিন্তু মেয়ে হয়েছে দেখে তাঁর স্ত্রী শুরু থেকেই অসন্তুষ্ট। তিনি প্রায়ই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছে।
ওসি আবদুর রশীদ ভূঁইয়া জানান, এ ঘটনায় এসআই আবদুর রহীম খান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। কনক বেগমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons