মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১১

লিভ টুগেদার


বিশ্বমোড়ল আমেরিকায় লিভ টুগেদারের জনপ্রিয়তা নিছক কোন পারিবারিক কারনে নয়। আমেরিকানরা লিভ টুগেদার করছে অর্থ সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে। বিয়ে হয়নি, অথচ স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় একত্রে বসবাস করছেন এমন আমেরিকান নারী-পুরুষের সংখ্যা ৭৫ লাখ। ইউএস সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ৬৯/৭০ বছরের অধিক বয়সী অনেক অবিবাহিত আমেরিকানও 'লিভ টুগেদার' করছেন। বিয়ে মানেই পারিবারিক মেলবন্ধন। দায়-দায়িত্ব সন্তান-সন্ততি ইত্যাদি নানা বিষয়ের জটিল সমাবেশ। আর এই জটিলতা এড়াতেই বিয়ে ছেড়ে লিভ টুগেদারের দিকে ঝুঁকছেন আমেরিকানরা। শুধু আমেরিকানরাই নয়, ওখানে বসবাসরত বাংলাদেশীসহ অন্যান্য অভিবাসীদের মধ্যেও লেগেছে এই ছোঁয়া। লিভ টুগেদারের ক্ষেত্রে পুরুষ আর নারী একেবারে স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় একসঙ্গে বসবাস করে। সামাজিকভাবে জৈবিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উভয়ে সমানভাবে সংসারের খরচ বহন করে। আর শেষ বয়সে অবসরের ভাতা পৃথকভাবে পাওয়ায় তাদের দিন কাটছে চমৎকারভাবে।
গত দু'বছর ধরেই অর্থনৈতিক মন্দা আর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে স্বল্প আয়ী আমেরিকানরা নাজুক পরিস্থিতিতে রয়েছেন। এমনি কঠিন পরিস্থিতিতে যারা চাকরি হারাচ্ছেন, তাদের অবস্থা অকল্পনীয়। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। বিকল্প হিসেবে অনেকের বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেলেও শুধু খরচের কথা ভেবে বিয়ে করা হয়ে ওঠে না। আর তাই বিকল্প উপায় খোঁজা। আবার অনেকে ২০/২৫ বছর যাবত বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড হিসেবে বাস করে সন্তানাদি নেয়ার পরও আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হননি। চাকরি অথবা ব্যবসা থেকে অবসর নিয়েছেন, তবুও বিয়ে করছেন না। এমন আমেরিকানদের ব্যাপারে ইউএসএ টুডে অনুসন্ধানী এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে সামগ্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে উদাহরণ টেনে বলা হয়েছে, ৭১ বছর বয়েসী টম ব্ল্যাক এবং ৬৯ বছর বয়েসী গ্রিটা কহেন গত ১৩ বছর যাবত 'লিভ টুগেদার' করছেন। দিনভর একত্রে চলাফেরা করেন। কেনাকাটা করেন একত্রে। রান্না অথবা হোটেলের ব্যয়ও ফিফটি ফিফটি হারে বহন করেন। এর ফলে এ দম্পতির অবসর সময় আনন্দে কাটছে। অবসরভাতা অথবা সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট হিসেবে তারা আলাদাভাবে যে চেক পাচ্ছেন তা দিয়ে উভয়ের মাসিক খরচে ঘাটতি পড়ে না। একইভাবে অনেক কর্মজীবী প্রেমিক-প্রেমিকারাও একই বিছানায় থাকা সত্বেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন না খরচের কথা চিন্তা করে। তাদের ধারণা, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বাস করতে ব্যয় বাড়বে। এই ধারা চলতে থাকলে আমেরিকানদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে, এখন দেখার বিষয় সেটাই।
আর পশ্চিম বঙ্গেই  বা এর জনপ্রিয়তা কেমন বাড়ছে বলে মনে করেন।কিছু মিডিয়া অলরেডি এর ব্যাপক প্রচারনা শুরু করছে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons