চর্মরোগের চিকিৎসককে পাঠানো হয়েছে চোখের চিকিৎসা দিতে। আর এ কাজে তাঁর সঙ্গী হয়েছেন প্যাথলজির অন্য চিকিৎসক। ঘটনাটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন ঘটনার নজির তাঁদের মনে পড়ে না।
হাসপাতালের পরিচালক শহীদুল হক মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, চক্ষু বিভাগে অন্য বিভাগের চিকিৎসক থাকায় আবাসিক সার্জনের ওপর চাপ পড়ছে। সাধারণ সমস্যা নিয়ে যাঁরা আসেন, তাঁদের বেলায় অন্য বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তারা সেবা দিলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু জটিল রোগীদের চিকিৎসা দিতে বিশেষায়িত জ্ঞান থাকা দরকার। বিষয়টি তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জানিয়েছেন।
চক্ষু বিভাগের আবাসিক সার্জন মোস্তাক আহমেদ বলেন, গড়ে প্রতিদিন ১৫০ জন রোগী চক্ষু বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ বলেন, এক বিভাগের চিকিৎসক কিছুতেই অন্য বিভাগে কাজ করতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘শুধু ঢাকায় থাকার জন্য অনেকে এ রকম ফন্দিফিকির খোঁজেন। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে দ্রুত সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৪ জুলাইয়ের জারি করা একটি বদলির আদেশে জানায়, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত অনুভা চন্দকে (চর্মরোগ ও যৌনরোগ বিষয়ে এফসিপিএস, প্রথম পর্ব পাস) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বহির্বিভাগে মণিকা খন্দকারের জায়গায় বদলি করা হলো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চক্ষু বহির্বিভাগে চিকিৎসা কর্মকর্তার দুটি পদের একটিতে প্রায় দেড় বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন প্যাথলজির চিকিৎসক মো. বশির। অন্য পদে চার-পাঁচ মাস ধরে কাজ করছিলেন স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক মণিকা খন্দকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চক্ষু বিভাগে অন্য বিভাগের চিকিৎসকদের বদলি করা নিয়ে বহু দিন ধরেই চিৎকার-চেঁচামেচি করে আসছিলাম। এত দিন পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আমাদের কথা শুনেছে। স্ত্রীরোগের চিকিৎসককে সরিয়ে চর্ম ও যৌনরোগের চিকিৎসক পাঠিয়েছে।’
চক্ষু বহির্বিভাগের অপর চিকিৎসা কর্মকর্তা প্যাথলজির চিকিৎসক মো. বশির বলেন, চক্ষু বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকা প্রয়োজন। তবে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করলে অনেকটাই পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
প্রথম আলো




১২:০৩ PM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন