জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চক্র তেজগাঁও কলেজের এক ছাত্রের নম্বর বাড়িয়ে ২০ থেকে ৩০ করেছে। নম্বর ঘষামাজার (টেম্পারিং) এ ঘটনা শেষ মুহূর্তে ধরা পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক তদন্তে এই কারসাজির প্রমাণও মিলেছে।
রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের ওই ছাত্র সম্মান চূড়ান্ত (অনার্স ফাইনাল) পরীক্ষার খাতা নিরীক্ষার আবেদনই করেননি।
এর নেপথ্যে বেরিয়ে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু কাওসারসহ কয়েকজনের নাম। এখন তাঁদের রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চক্র ভেতর-বাইরে দেনদরবার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আবু কাওসার প্রথম আলোকে বলেন, এ নিয়ে তদন্ত চলছে বলে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না। প্রাথমিক তদন্তে তাঁর নাম আসা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি এই মুহূর্তে মন্তব্য করতে চান না। কয়েক দিন পর তিনি এ বিষয়ে কথা বলার আশ্বাস দেন।
যোগাযোগ করা হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য তোফায়েল আহমদ চৌধুরী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শাখার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে এভাবে একে অপরকে দেখিয়ে দেন, কেউ বা তদন্তের অজুহাতে নম্বর ঘষামাজার বিষয়ে কথা বলতে চাননি। কিন্তু এসব কর্মকর্তার কেউই জোর দিয়ে বলেননি যে ঘটনাটি মিথ্যা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে চলেন। গতকালও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। আরেক সহ-উপাচার্য মো. আবু সাইদ খান তিন মাস আগে ইস্তফা দিলেও তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়েও যান না।
জানা যায়, সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ফল প্রকাশের পর কোনো পরীক্ষার্থী খাতা পুনঃ নিরীক্ষা করতে চাইলে ৫০০ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিয়ে আবেদন করবেন। কিন্তু তেজগাঁও কলেজের প্রাণ রসায়নের ওই ছাত্র খাতা পুনঃ নিরীক্ষার আবেদন না করলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শাখার সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার টেবিলে তাঁর নম্বর সংশোধনের নথি ঘোরাঘুরি করেছে। একপর্যায়ে নম্বরপত্রের সঙ্গে কম্পিউটার শিটের গরমিল ধরা পড়ে। এ ঘটনাটি প্রাথমিক তদন্ত করে এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বক্তব্য নিয়ে জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ-সংক্রান্ত ফাইলটি তথ্যপ্রমাণসহ উপাচার্যের কাছে




১১:২৫ AM
মম
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন