সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১১

ফাও খাবার না পেয়ে রেস্তোরাঁ ভাঙচুর

ফাও খাবার না পেয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র রাজধানীর কলেজগেটে একটি রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর করেছেন। এ সময় হোটেলের কর্মচারীরা ছয়জন ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেন। আহত ব্যক্তিরা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। 
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হাসানুজ্জামান বাদী হয়ে রেস্তোরাঁর মালিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর পুলিশ রেস্তোরাঁর দুজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ছাত্র জানান, গতকাল বেলা পৌনে তিনটার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উল্টো দিকের অনুরাগ রেস্তোরাঁয় খেতে যান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল হাসান নিপুণ, কর্মী জান্নাত চৌধুরী ও জাহিদ। তিনজনের খাবারের দাম হয় ৩১১ টাকা। কিন্তু কর্মীরা মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে চলে যেতে উদ্যত হন। এ সময় ব্যবস্থাপক তাঁদের ডাক দিলে ছাত্ররা ফিরে এসে জানান, তাঁরা ২০ ভাগ মূল্যছাড় পেয়ে থাকেন। ব্যবস্থাপক ওই ছাড় দিয়েই বাকি দাম দিতে বলেন। ছাত্ররা এতেও রাজি না হলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ছাত্ররা ব্যবস্থাপককে মারধর শুরু করেন। 
প্রত্যক্ষদর্শী আরও একজন জানান, ছাত্রদের মধ্যে একজন ফোন করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০-১৫ জন ছাত্রকে ডেকে নিয়ে আসেন। ছাত্ররা এসেই রেস্তোরাঁর সামনের কাচ ভেঙে ফেলেন। এ সময় রেস্তোরাঁর সব খদ্দের বের হয়ে যান। শুরু হয় মারামারি। মারামারিতে ছাত্রলীগের ও রেস্তোরাঁকর্মী উভয় পক্ষই আহত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ঘটনার পর পুলিশ এসে ছাত্রলীগের কর্মীদের পক্ষ নিয়ে তৎ পরতা শুরু করলে রেস্তোরাঁকর্মীরা পালিয়ে যান।
ছাত্ররা জানান, মারামারির সময় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সরোয়ার মামুন, সহসভাপতি এ এম আহসান হায়দার শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল হাসান নিপুণ, ইব্রাহিম খলিল খান, কর্মী জান্নাত চৌধুরী ও সুমন চন্দ্র সরকার আহত হন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ছিল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। সম্মেলন শেষে নেতারা কয়েকজনকে টাকা দিয়ে রেস্তোরাঁয় গিয়ে খেতে বলেন। টাকা নিয়ে ওই তিনজন রেস্তোরাঁয় খেতে যান। খাওয়া শেষে দাম হয় ১২০ টাকা। তাঁরা ১০০ টাকা দিতে চান। কিন্তু ব্যবস্থাপক ২০০ টাকা দাবি করেন। রেস্তোরাঁকর্মীরা ধারালো অস্ত্র ও রড-লাঠি নিয়ে তাঁদের মারধর করেছেন বলে তিনি জানান। 
মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় পুলিশ রেস্তোরাঁর মালিকের আত্মীয় ও রেস্তোরাঁর কর্মী সৈয়দ হোসাইনুল ইসলাম তালুকদার ও রাকিব হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons