বাগেরহাট সদর উপজেলার সৈয়দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত, চড় মেরে অচেতন ও মুঠোফোনে ছবি ধারণ করার অপরাধে সহপাঠী তিন ছাত্রকে মৃদু ভর্ৎসনা ও বেত্রাঘাত করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এই তিন সহপাঠী হলো রাশেদ, আলী ও সাগর।
মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে অনুষ্ঠিত সালিসি সভায় শিক্ষক, অভিভাবক, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা ওই তিন ছাত্রকে ভর্ৎসনা ও বেত্রাঘাত করে ছেড়ে দেন।
সভা শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষক এই বিচারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত সাগর ১৫ দিন আগেও এই মেয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল। তখন নালিশ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। এই ছাত্রীকে সাগর ও তার কয়েক বন্ধু বেশ কিছুদিন ধরে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছে। গত রোববার সকালে স্কুলে আসার পথে তারা মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে এবং মুঠোফোনে ছবি ধারণের চেষ্টা করে। মেয়েটি স্কুলে এসে নবম শ্রেণীর কমন রুমে আশ্রয় নেয়। সেখানেও তারা তাকে উত্ত্যক্ত করে। একপর্যায়ে সাগর দশম শ্রেণীর কমন রুমে ঢুকে তাকে অশ্লীল কথা বলে। এ সময় প্রতিবাদ করলে সে ওই ছাত্রীর গালে চড় মারে। এতে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় সাগরের দুই সহযোগী আলী ও রাশেদ মুঠোফোনে এসব দৃশ্য ধারণ করে তা ব্লু-টুথের মাধ্যমে পরিচিতজনদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। এ খবর পেয়ে কয়েকজন শিক্ষক মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। এ সময় ওই ছাত্ররা পালিয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক ডলি দেবনাথ ও ধর্মীয় শিক্ষক শরদেন্দু মুখার্জি জানান, তাঁরা গিয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা মেয়েটিকে সেবা-শুশ্রূষা করেন। এ সময় একটি ছেলের কাছ থেকে তাঁরা ছবি ধারণ করা মুঠোফোন জব্দ করেন।
প্রধান শিক্ষক আবদুল হামিদ বলেন, মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার বিষয়ে আগেও ওই ছাত্রের অভিভাবককে জানানো হয়েছিল।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শক্তি নারায়ণ দাস বলেন, ওই তিনজনকে ভালো হওয়ার আরেকটি সুযোগ দিয়ে বেত্রাঘাত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মেয়ের মা বলেন, ‘আমি চাই স্কুলের সব মেয়ের যাতায়াত নির্বিঘ্ন হোক।’
রাখালগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অভিযুক্ত ছেলেটির বাবা রবিউল ইসলাম ফরাজী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোনো কথা বলার নেই। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা ভালো মনে করেছে তাই করেছে।’
এই তিন সহপাঠী হলো রাশেদ, আলী ও সাগর।
মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে অনুষ্ঠিত সালিসি সভায় শিক্ষক, অভিভাবক, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা ওই তিন ছাত্রকে ভর্ৎসনা ও বেত্রাঘাত করে ছেড়ে দেন।
সভা শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষক এই বিচারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত সাগর ১৫ দিন আগেও এই মেয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল। তখন নালিশ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। এই ছাত্রীকে সাগর ও তার কয়েক বন্ধু বেশ কিছুদিন ধরে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছে। গত রোববার সকালে স্কুলে আসার পথে তারা মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে এবং মুঠোফোনে ছবি ধারণের চেষ্টা করে। মেয়েটি স্কুলে এসে নবম শ্রেণীর কমন রুমে আশ্রয় নেয়। সেখানেও তারা তাকে উত্ত্যক্ত করে। একপর্যায়ে সাগর দশম শ্রেণীর কমন রুমে ঢুকে তাকে অশ্লীল কথা বলে। এ সময় প্রতিবাদ করলে সে ওই ছাত্রীর গালে চড় মারে। এতে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় সাগরের দুই সহযোগী আলী ও রাশেদ মুঠোফোনে এসব দৃশ্য ধারণ করে তা ব্লু-টুথের মাধ্যমে পরিচিতজনদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। এ খবর পেয়ে কয়েকজন শিক্ষক মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। এ সময় ওই ছাত্ররা পালিয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক ডলি দেবনাথ ও ধর্মীয় শিক্ষক শরদেন্দু মুখার্জি জানান, তাঁরা গিয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা মেয়েটিকে সেবা-শুশ্রূষা করেন। এ সময় একটি ছেলের কাছ থেকে তাঁরা ছবি ধারণ করা মুঠোফোন জব্দ করেন।
প্রধান শিক্ষক আবদুল হামিদ বলেন, মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার বিষয়ে আগেও ওই ছাত্রের অভিভাবককে জানানো হয়েছিল।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শক্তি নারায়ণ দাস বলেন, ওই তিনজনকে ভালো হওয়ার আরেকটি সুযোগ দিয়ে বেত্রাঘাত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মেয়ের মা বলেন, ‘আমি চাই স্কুলের সব মেয়ের যাতায়াত নির্বিঘ্ন হোক।’
রাখালগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অভিযুক্ত ছেলেটির বাবা রবিউল ইসলাম ফরাজী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোনো কথা বলার নেই। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা ভালো মনে করেছে তাই করেছে।’




১০:৪৫ AM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন