বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১১

হলিউডি নক্ষত্রদের 'ভালোবাসার সন্তান'


আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার
হলিউডের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তুলেছে অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগারের বিয়ে বহির্ভূত এক পুত্রসন্তান রয়েছে এমন খবর। এই সন্তানের মা হলেন আর্নল্ডেরই এক গৃহপরিচারিকা, দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সহকারী মিলড্রেড বায়েনা।

আর্নল্ড ও তার স্ত্রী মারিয়া শ্রিভার ক্যালিফোর্নিয়ার যে বাড়িতে বসবাস করতেন, সে বাড়িতেই কাজ করতেন ৫০ বছর বয়সী মিলড্রেড। এ ছাড়া ২০ বছর ধরে আর্নল্ডের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বছরের জানুয়ারিতে অবসর নেন তিনি। মিলড্রেডের গর্ভে জন্ম নেয়া আর্নল্ডের এই সন্তানের বয়স বর্তমানে ১৪ বছরের কাছাকাছি। অন্যদিকে, আর্নল্ড এবং মারিয়ার ছোট ছেলে ক্রিস্টোফারের বয়স এখন ১৩। সেই হিসেবে, মিলড্রেড এবং মারিয়া কাছাকাছি সময়েই অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন।

সম্প্রতি আর্নল্ড নিজেই এই সত্য প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘আমার পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুদের মনে আঘাত দেয়ার মতোই কাজ করেছি আমি। আমি জানি, এর কোনো ক্ষমা নেই। তারপরও আমি মারিয়া এবং আমার সন্তানদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমি সত্যিই ভীষণ দুঃখিত।’ তবে, আর্নল্ডের এ কুকীর্তিকে সহজভাবে নিতে পারেননি মারিয়া। তিনি বলেছেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক এবং মন ভেঙ্গে দেয়ার মতো একটি ঘটনা। মা হিসেবে এখন সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়েই আমি বেশি চিন্তিত। এই ক্ষত সারিয়ে নতুন করে আমাদের জীবনকে সাজানোর চেষ্টাই করবো আমি। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে চাই না।’ মারিয়ার এমন বক্তব্যের পরও আর্নল্ড আরেকটি সুযোগ পাওয়ার জন্য মরীয়া হয়ে উঠেছেন। মারিয়ার কাছে বারবার ক্ষমা ভিক্ষা চাইছেন তিনি।

লিজ টেইলর
হলিউডি ছবির চেয়ে কোনো অংশেই কম নাটকীয় ছিলো না প্রয়াত এলিজাবেথ টেইলরের জীবন। তার মৃত্যুর একমাস পর আরেকটি নাটকীয় ঘটনার কথা প্রকাশিত হয়ে পড়ে। সত্যটি হচ্ছে, বিয়ে বহির্ভূত একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন টেইলর। তার গর্ভজাত এই শিশুটিকে লিজ নাকি ছেড়ে দিতেও বাধ্য হয়েছিলেন। টেইলরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আধ্যাত্মিক গুরু জন কোহান এই তথ্য ফাঁস করেছেন। কোহানের ভাষ্য, ‘ষাটের দশকে আমার ক্লায়েন্ট ছিলেন টেইলর। তিনি নোরা নামের একটি কন্যাশিশুর জন্ম দিয়েছিলেন। সে সময় তিনজন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো তার। তিনি নিশ্চিত ছিলেন না, বিয়ে বহির্ভূত এই কন্যাসন্তানের বাবা কে ছিলেন। আর সে কারণেই নোরাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। পরে টেইলর তার কন্যাকে আয়ারল্যান্ডে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। ভরণ-পোষণের জন্য অর্থ দিলেও, নোরার সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ রাখেননি তিনি। বিষয়টি গোপন রাখলেও, এটা সবসময়ই তাকে মর্মপীড়া দিয়েছে। তিনি আমাকে বলেছিলেন, তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যেন বিষয়টি আমি ফাঁস না করি।’ bdnews24.com

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons