
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল বেগমবাজারে ভেজাল ঘি তৈরির কারখানায় অভিযান চালান
ছবি: প্রথম আলো
র্যাব সদস্যরা জানান, পুরান ঢাকার বেগমবাজারে একটি চারতলা বাড়ির মালিক আবদুস সামাদ। ঘি তৈরির কারখানা ছিল ওই বাড়িতেই। গতকাল দুপুরে ওই কারখানায় গিয়ে যায়, বাজার থেকে কেনা পামওয়েল, ডালডা ও রং গ্যাসের চুলায় জ্বাল করে তরল তৈরি করা হয়। পরে সে তরল ভরা হয় নাম করা কোম্পানির কৌটায়। ঘিয়ের ঘ্রাণের জন্য খানিকটা আসল ঘি ওপরে দেওয়া হয়। টিনের কৌটার মুখ বন্ধ করে তা তুলে দেওয়া হয় ফেরিওয়ালাদের হাতে। এই ঘি আসল ঘি বলেই বিক্রি হয় বাজারে।
ঘি কারখানার মালিক আবদুল সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতি কোটা ঘিয়ে লাভ থাকে ৪০ টাকা। দুই মাস ধরে তিনি এই ঘি তৈরি করছেন বলে জানান।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা প্রথম আলোকে বলেন, নাম করা ঘিয়ের কৌটায় ভেজাল ঘি বাজারজাত করে তাঁরা প্রতারণা করছিলেন। এ জন্য কারখানা মালিক সামাদকে দুই বছরের জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর ছেলে সোহেলকে দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। র্যাবের উপপরিচালক মুহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
এদিকে গতকাল সকালে র্যাব-১০-এর একটি দল লালবাগের পোস্তা এলাকায় অভিযান চালায়। এ অভিযানে নকল বাল্ব, নারকেল তেল, পেট্রোলিয়াম জেলি ও পাউডার তৈরির অভিযোগে কারখানার মালিক ইসমাইল হোসেনকে আটক করে র্যাব। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ইসমাইলকে চার লাখ টাকা জরিমানা ও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিদর্শক সাইদুর রহমান এসব অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বলে র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।




১:২৬ PM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন