সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে বুকারজয়ী ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির সঙ্গে বাহাসে জড়ানোর পর এবার সব পুরুষ লেখককে এক হাত নিলেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন।
শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তসলিমা বলেন, পুরুষ লেখকরা হলো ঈশ্বরের মতো, যারা কোনো সমালোচনাই মানতে পারেন না।
বুধবার টুইটারে এক বার্তায় রুশদির বিরুদ্ধে তসলিমা অভিযোগ করেন, তিনি (রুশদি) টুইটারে তার অনুসারী (ফলোয়ার) সংগ্রহের জন্য রীতিমত 'ভিক্ষা' করছেন এবং নারীদের পিছনে ছুটছেন।
এর কয়েকঘণ্টা পর রুশদি জবাব দেন- "দূর থেকে আমি তসলিমা নাসরিনের হিংসুটে মিয়্যাও শুনতে পেলাম। তিনি আমার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রকাশ করেছেন। টুট, টুট, তসলিমা। শেম, লজ্জা।"
তাদের এই বাহাস আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো ফলাও করে প্রচার করে। সেখানে রুশদির পক্ষ নিয়ে অনেকেই কথা বলেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে টাইমস অব ইন্ডিয়া তসলিমার কাছে জানতে চেয়েছিল- বর্তমান সাহিত্য দুনিয়াতেও একজন নারী লেখককে 'বসিয়ে' দেওয়া খুব সহজ?
জবাবে নির্বাসিত এই বাংলাদেশি লেখক বলেন, "আমরা লেখকরা যে সাহিত্য জগতে আছি, তার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে পুরুষদের হাতে। অনেক পুরুষ লেখকই অহংকারী আর উদ্ধত। বিশেষ করে তারা যদি কোনো প্রভাবশালী ভাষায় লেখেন এবং কেনোভাবে জনপ্রিয়তা পেয়ে যান, তাহলেতো কথাই নেই। পুরুষের এই দুনিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা কেউ সহ্য করতে পারে না।"
রুশদি ও তসলিমা দুজনেই ইসলামি মৌলবাদীদের শিকার। একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন দুজনেই। এমন কি তসলিমাকে কখনো কখনো নারী রুশদিও বলা হয়। রুশদি নিজেও ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে তসলিমার বসবাসের অধিকারের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন।
তবে সা¤প্রতিক 'টুইট যুদ্ধের' পর রুশদিকেও 'পুরুষতান্ত্রিক' সমাজের একজন 'পুরুষ লেখক' হিসেবেই দেখছেন তসলিমা।
এই পুরুষ লেখকদের প্রতি বাঁকা বাক্যের তীর ছুঁড়ে দিয়ে তসলিমা বলেন, "তারা হলেন ঈশ্বরের মতো। ঈশ্বর সমালোচনা পছন্দ করেন না। তাই ঈশ্বরে বিশ্বাসীরা সবসময় তাকে সমালোচনা থেকে রক্ষা করে। আর নারী লেখক, যারা নারী অধিকারের জন্য কাজ করেন- তারা এই সমাজে অস্পৃশ্য। নারীবাদ হলো ঘৃণার বিষয়।"
অনেক লেখকের জনপ্রিয়তা আর অনেকের নিগ্রহের পেছনে 'গুজবের শক্তির' ইন্ধন দেখছেন তসলিমা।
"সমস্যাটা হলো- আপনি যদি একটা গুজব ছড়িয়ে দিতে পারেন যে কেউ একজন ভালো লেখে, তখন দেখবেন হাজার হাজার মানুষ তোতা পাখির মতো বলছে, 'তিনি একজন মহান লেখক'। এর জন্য সেই লেখকের একটা বইও পড়ার দরকার হয় না তাদের। আর আপনি যদি ছড়িয়ে দেন যে কোনো মেয়ে বাজে লেখক, তাহলেও দেখবেন একটা বইও না পড়ে সবাই বলতে শুরু করবে, 'এই মেয়েটা খারাপ লেখে'।"
তসলিমার ভাষায়, গুজব হলো 'জিব্রাইল ফেরেশতার' মতো। একজন ভালো লেখককে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার এবং বাজে লেখাকেও আকাশে তোলার ক্ষমতা আছে তার।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তসলিমা বলেন, পুরুষ লেখকরা হলো ঈশ্বরের মতো, যারা কোনো সমালোচনাই মানতে পারেন না।
বুধবার টুইটারে এক বার্তায় রুশদির বিরুদ্ধে তসলিমা অভিযোগ করেন, তিনি (রুশদি) টুইটারে তার অনুসারী (ফলোয়ার) সংগ্রহের জন্য রীতিমত 'ভিক্ষা' করছেন এবং নারীদের পিছনে ছুটছেন।
এর কয়েকঘণ্টা পর রুশদি জবাব দেন- "দূর থেকে আমি তসলিমা নাসরিনের হিংসুটে মিয়্যাও শুনতে পেলাম। তিনি আমার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রকাশ করেছেন। টুট, টুট, তসলিমা। শেম, লজ্জা।"
তাদের এই বাহাস আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো ফলাও করে প্রচার করে। সেখানে রুশদির পক্ষ নিয়ে অনেকেই কথা বলেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে টাইমস অব ইন্ডিয়া তসলিমার কাছে জানতে চেয়েছিল- বর্তমান সাহিত্য দুনিয়াতেও একজন নারী লেখককে 'বসিয়ে' দেওয়া খুব সহজ?
জবাবে নির্বাসিত এই বাংলাদেশি লেখক বলেন, "আমরা লেখকরা যে সাহিত্য জগতে আছি, তার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে পুরুষদের হাতে। অনেক পুরুষ লেখকই অহংকারী আর উদ্ধত। বিশেষ করে তারা যদি কোনো প্রভাবশালী ভাষায় লেখেন এবং কেনোভাবে জনপ্রিয়তা পেয়ে যান, তাহলেতো কথাই নেই। পুরুষের এই দুনিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা কেউ সহ্য করতে পারে না।"
রুশদি ও তসলিমা দুজনেই ইসলামি মৌলবাদীদের শিকার। একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন দুজনেই। এমন কি তসলিমাকে কখনো কখনো নারী রুশদিও বলা হয়। রুশদি নিজেও ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে তসলিমার বসবাসের অধিকারের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন।
তবে সা¤প্রতিক 'টুইট যুদ্ধের' পর রুশদিকেও 'পুরুষতান্ত্রিক' সমাজের একজন 'পুরুষ লেখক' হিসেবেই দেখছেন তসলিমা।
এই পুরুষ লেখকদের প্রতি বাঁকা বাক্যের তীর ছুঁড়ে দিয়ে তসলিমা বলেন, "তারা হলেন ঈশ্বরের মতো। ঈশ্বর সমালোচনা পছন্দ করেন না। তাই ঈশ্বরে বিশ্বাসীরা সবসময় তাকে সমালোচনা থেকে রক্ষা করে। আর নারী লেখক, যারা নারী অধিকারের জন্য কাজ করেন- তারা এই সমাজে অস্পৃশ্য। নারীবাদ হলো ঘৃণার বিষয়।"
অনেক লেখকের জনপ্রিয়তা আর অনেকের নিগ্রহের পেছনে 'গুজবের শক্তির' ইন্ধন দেখছেন তসলিমা।
"সমস্যাটা হলো- আপনি যদি একটা গুজব ছড়িয়ে দিতে পারেন যে কেউ একজন ভালো লেখে, তখন দেখবেন হাজার হাজার মানুষ তোতা পাখির মতো বলছে, 'তিনি একজন মহান লেখক'। এর জন্য সেই লেখকের একটা বইও পড়ার দরকার হয় না তাদের। আর আপনি যদি ছড়িয়ে দেন যে কোনো মেয়ে বাজে লেখক, তাহলেও দেখবেন একটা বইও না পড়ে সবাই বলতে শুরু করবে, 'এই মেয়েটা খারাপ লেখে'।"
তসলিমার ভাষায়, গুজব হলো 'জিব্রাইল ফেরেশতার' মতো। একজন ভালো লেখককে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার এবং বাজে লেখাকেও আকাশে তোলার ক্ষমতা আছে তার।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম




১০:৪৬ AM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন