রাজধানীর রামপুরায় মুন্নি (ছদ্মনাম) নামের ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বখাটেরা। মেয়ের ভবিষ্যৎ আর লোকলজ্জার ভয়ে এ খবর কাউকেই জানাননি মা ফাতেমা বেগম। তিনি বলেছেন, বাপমরা মেয়েকে নিয়ে ছোট্ট একটা বাসায় ভাড়া থাকি। মামলা করলে এ ঘটনা জানাজানি হয়ে যাবে। ওর বিয়ে হবে না। তখন ওর কি হবে? এটা জানাজানি হলে আমাকেও এলাকায় থাকতে দেয়া হবে না। আমার স্বামী নেই। মেয়েকে নিয়ে তখন কোথায় যাবো? তাই কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তবে থানা পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের এমন কোন খবর থানায় আসেনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডের রোগী রেজিস্ট্রার নথিতে ধর্ষণজনিত কেস বলে উল্লেখ আছে। দুপুরে ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনকারী দু’জন মহিলা চিকিৎসক জানান, প্রাথমিক আলামতে এটিকে ধর্ষণ বলেই ধরে নেয়া হয়েছে। তবুও টেস্ট করা হচ্ছে। দায়িত্বে থাকা নার্স জানিয়েছেন, সে এখনও স্বাভাবিক নয়। মাঝেমধ্যেই বমি করছে। দুপুরে মুন্নির সঙ্গে কথার বলার সময়ও একবার বমি করে। তার চোখ-নাক-মুখ ফোলা ছিল। কথা বলার সময় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল।
গতকাল চিকিৎসাধীন মুন্নির কাছে ঘটনার বর্ণনা জানতে চাওয়া হয়। মুন্নি চোখ বন্ধ করে আধো আধো কণ্ঠে জানায়, সে রামপুরার ম্যাগ স্টার গার্মেন্টসে কাজ করে। রোববার বিকাল ৫টায় গার্মেন্টস ছুটি হলে বান্ধবী কল্পনার সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। তারা আফতাবনগরে ঘুরতে যায়। সেখানে দু’টি ছেলে তাদের পিছু নেয়। ঘোরাঘুরি শেষে তারা হেঁটে ১৯৬ নম্বর পাকা মসজিদের বাসার দিকে ফিরছিল। তখন রাত ৮টা। হঠাৎ করে ওই দু’টি ছেলে তাদের পেছন থেকে হাত ধরে মুখ ছাপিয়ে পার্শ্ববর্তী মহানগর প্রজেক্ট মাঠের কোনায় নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও ২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে ওই দু’জনের সঙ্গে মুন্নিকে দৈহিক অপকর্মে লিপ্ত হতে বলে। না হলে ১০ হাজার টাকা চায়। মুন্নি টাকা দিতে রাজি হলে তার মাকে ফোন করতে বলে। কিন্তু তারা ফোন না দিয়ে তার মুখ ছাপিয়ে ধর্ষণ করে। এক সময় মুন্নি নিস্তেজ হয়ে এলে উঠে যায় ধর্ষণকারীরা। সে জানায়, কল্পনাকেও হয়তো একইভাবে অন্য কেউ ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণ শেষে ওই যুবকরা তাদের হাতে ১০ টাকা দিয়ে রিকশায় করে চলে যেতে বলে। ঘটনার পরপরই মুন্নি প্রজেক্ট মাঠের অনতিদূরের একটি বাজারে আসে তার মাকে ফোন করার জন্য। এ সময় পূর্বপরিচিত এক যুবককে পেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। কয়েক যুবক মিলে ধাওয়া করলে দেখতে পায়, ধর্ষণকারীদের একজন তাদেরই কারও ছোট ভাই। ফিরে এসে ‘পরে এর বিচার হবে, এ ঘটনা কাউকে যেন না জানায়’ বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ফাতেমা বেগম জানান, রাত ১০টার দিকে বিধ্বস্ত অবস্থায় মুন্নি ঘরে ফেরে। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই মেঝেতে পড়ে যায়। বলেন ‘আমার সব শেষ’। এরপর তার রক্তক্ষরণ দেখে বুঝতে পারে পরের ঘটনা। মুন্নি জানায়, তাদের দু’জনকে ‘হেরোইনচি’র মতো লাগছিল। তাদের সে এর আগে দেখেনি।
রমাপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন খান জানান, বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। থানায় এখনও এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। তবে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।
গতকাল চিকিৎসাধীন মুন্নির কাছে ঘটনার বর্ণনা জানতে চাওয়া হয়। মুন্নি চোখ বন্ধ করে আধো আধো কণ্ঠে জানায়, সে রামপুরার ম্যাগ স্টার গার্মেন্টসে কাজ করে। রোববার বিকাল ৫টায় গার্মেন্টস ছুটি হলে বান্ধবী কল্পনার সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। তারা আফতাবনগরে ঘুরতে যায়। সেখানে দু’টি ছেলে তাদের পিছু নেয়। ঘোরাঘুরি শেষে তারা হেঁটে ১৯৬ নম্বর পাকা মসজিদের বাসার দিকে ফিরছিল। তখন রাত ৮টা। হঠাৎ করে ওই দু’টি ছেলে তাদের পেছন থেকে হাত ধরে মুখ ছাপিয়ে পার্শ্ববর্তী মহানগর প্রজেক্ট মাঠের কোনায় নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও ২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে ওই দু’জনের সঙ্গে মুন্নিকে দৈহিক অপকর্মে লিপ্ত হতে বলে। না হলে ১০ হাজার টাকা চায়। মুন্নি টাকা দিতে রাজি হলে তার মাকে ফোন করতে বলে। কিন্তু তারা ফোন না দিয়ে তার মুখ ছাপিয়ে ধর্ষণ করে। এক সময় মুন্নি নিস্তেজ হয়ে এলে উঠে যায় ধর্ষণকারীরা। সে জানায়, কল্পনাকেও হয়তো একইভাবে অন্য কেউ ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণ শেষে ওই যুবকরা তাদের হাতে ১০ টাকা দিয়ে রিকশায় করে চলে যেতে বলে। ঘটনার পরপরই মুন্নি প্রজেক্ট মাঠের অনতিদূরের একটি বাজারে আসে তার মাকে ফোন করার জন্য। এ সময় পূর্বপরিচিত এক যুবককে পেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। কয়েক যুবক মিলে ধাওয়া করলে দেখতে পায়, ধর্ষণকারীদের একজন তাদেরই কারও ছোট ভাই। ফিরে এসে ‘পরে এর বিচার হবে, এ ঘটনা কাউকে যেন না জানায়’ বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ফাতেমা বেগম জানান, রাত ১০টার দিকে বিধ্বস্ত অবস্থায় মুন্নি ঘরে ফেরে। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই মেঝেতে পড়ে যায়। বলেন ‘আমার সব শেষ’। এরপর তার রক্তক্ষরণ দেখে বুঝতে পারে পরের ঘটনা। মুন্নি জানায়, তাদের দু’জনকে ‘হেরোইনচি’র মতো লাগছিল। তাদের সে এর আগে দেখেনি।
রমাপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন খান জানান, বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। থানায় এখনও এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। তবে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।




১:৫৫ PM
Akashnill
Posted in:
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন