বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

অসুস্থ প্রেম

‎* অসুস্থ প্রেম*

আপনারা কি কেও নেকরোফিলিয়া রোগের নাম শুনেছেন? এটি একটি ভয়াবহ মানসিক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি মৃত দেহের প্রতি তীব্র যৌন আকর্ষণ অনুভব করে। সম্প্রতি পাকিস্থানের এক যুবক মৃত নারীদের সাথে যৌন সঙ্গম করে তীব্র ভাবে সমালোচিত হয়েছেন। নেকরোফিলিয়ার আর এক আলোচিত ব্যাক্তি হলেন ডাঃ কার্ল ভ্যান ক্যাসল। ১৯৩০ সালে ফ্লোরিডায় তিনি ডাক্তারী পেশায় থাকাবস্থায় মারিয়া এলেনা উজ নামীয় এক সুন্দরী টিবি রোগীর চিকিৎসা করেন। চিকিৎসা করতে করতে গভীরভাবে ঐ মেয়ের প্রেমে পড়ে যান ডাঃ ক্যাসল। ডাঃ ক্যাসল মেয়েটিকে বাচাঁনোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যর্থ হন। মারিয়ার মৃত্যুর পর তাকে জাকজমকপূর্ণভাবে সমাহিত করা হয়। মারিয়ার সমাধির পর তার দেহে যেন পচন না ধরে সেজন্য ডাঃ ক্যাসল তার সারা গায়ে মোম দিয়ে দেন এবং পারফিউম ছড়িয়ে দেন। প্রতিদিনই ডাঃ ক্যাসল মারিয়ার সমাধিতে যেতেন এবং সমাধির উপরের অংশ সরিয়ে মৃত মারিয়ার সাথে মিলিত হতেন। এভাবে প্রতিদিন ডাঃ ক্যাসলের মারিয়ার সমাধি পাশে যাওয়া নিয়ে প্রতিবেশীরা সমালোচনা শুরু করলে ডাঃ ক্যাসল একদিন সবার অলক্ষ্যে মারিয়াকে নিজ গৃহে নিয়ে আসেন।
মারিয়ার দেহে মোম ও পারফিউম দিয়ে নববধুর গাউন পরিয়ে মৃত মারিয়ার সাথে নিয়মিত মিলিত হতে থাকেন ডাঃ ক্যাসল। প্রকৃতপক্ষে মারিয়ার শরীরে তখন মাংস অবশিষ্ট ছিল না কেবল হাঁড় ছাড়া। ডাঃ ক্যাসল মারিয়ার শরীরের বিশেষ অঙ্গে একটি টিউব বসিয়ে নিয়মিত যৌন কার্য করতেন। প্রতিনিয়ত মোম ও পারফিউম দেয়ার পরও মারিয়ার পচন এবং দুর্গন্ধ ঠেকানো যাচ্ছিল না। প্রতিবেশীরা এ নিয়ে আপত্তি জানায় এবং পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ এসে ডাঃ ক্যাসলের রুম থেকে মারিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং মারিয়ার পরিবারের আবেদন মতেরিয়াকে পুনরায় সমাধিস্থ করে। পরবর্তীতে ডাঃ ক্যাসল একটি পুতুলকে মারিয়ার মুখোশ পরিয়ে তার সাথে বসবাস করতে থাকেন। এভাবে আমৃত্যু মারিয়ার প্রতি তার ভালবাসা অব্যাহত ছিল। এরকম বৈসাদৃশ্য ও অস্বাভাবিক আচরণ করলেও ব্যাক্তি জীবনে ডাঃ ক্যাসল ছিলেন নিপাট ভদ্রলোক।

সূত্রঃ khobor24.com

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons